প্রেম ঘুন পোঁকা হয়ে কুটকুট করে খায়
খেয়ে খেয়ে ঠোঙ্গা করে দেয় হ্নদয়!
'কোয়ালিটি' খুঁজতে খুঁজতে জীবন বৃথা হয় ;
প্রেমিকা খুঁজতে গিয়ে,স্বপ্ন হয় মরিচীকা।

এমন দোটানায় আমি হই জীবন্ত লাশ!
ফোঁপা হয় শতাব্দীর ধেয়ে আসা জীবন;
রোজ একটা করে নতুন জীবন পড়তে হয়,
মানে খুঁজতে হয় প্রত্যেকটা ছিন্ন ঘটনার।

অবসাদ নিয়ে চলা মানুষ গুনতে হয়
নয়-ছয় হলেই,মহা বিপদ সংকেত আসে।
ভাসে চক্ষু বরণে ছেঁটে আসা অতীত গল্প,
অল্প অল্প করে সব জমাই জাদুঘরের তাঁকে।

রেললাইনে পিষ্ট হওয়া পাটাতনের মত সাজাই,
তোপের তাসের মত সাজাই প্রত্যেকটা ব্যাথা।
সুখ বিলাসীতা,এলোমেলো গল্পে বাজাই ;
নাজেহাল হয়ে সব ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে চাই।

প্রকৃতি দারুণ নকশা আঁকে পৃথিবীর বুকে!
অথচ, হাজার জনে ছিন্নমূল হয়ে বেঁচে আছে।
পাঁচ টাকার চায়ে কেটে যায় কারোর অর্ধ বেলা;
আমার তাতেও জীবনের মানে বুঝে আসে না।

বুঝে আসে না কীভাবে মানুষ অট্টালিকা গড়ে?
অথচ খড়কুটোতেও কারোর জীবন চলে যায়।
বড় হতে হবে বলি বলি কজনে,অমানুষ হয়!  
আর মুষ্টি কতেক ভাবে মানুষ হই তবে।

দ্বন্দ্ব লাগে এমন হাজার স্বাধীন ভাবনায়
চাপা পড়ে যায় হাজার, গুনীজন আর গুঞ্জন।
সময়ে আটকানো 'ছয় শত বছর' চাপা পড়ে,
পনেরো বছর আটকে থাকে পুরনো স্মৃতির ঘড়িতে।

সদ্য চব্বিশ বছরে নারীর, রমণী রুপ
দেখেছি!
আবার সময়ের অনেক রুপ- রঙ্গও মেখেছি।
লবন,হলুদের মত সব চেকে দেখা হয়নি তবুও ;
জীবনের অলিগলি চষে বেড়ানো হয়নি বুঝি।

সব বুঝি,আবার কিছুই বুঝে ওঠা হয়না;
সবাই ভালোবাসা খোঁজে, আমার গোঁজামিলের জীবন।
মানিয়ে নিতে হয়,মন যুগিয়ে চলায় রক্তক্ষরণ,
এমন বরণও জীবনের পুস্তকে বিশেষ অধ্যায়।

লেখা আছে- শিক্ষা,সমাজ,সংসার, অবসাদ
প্রেম,প্রেমিকা,বিচ্ছেদ,বিরহ,সুখ-দুঃখ ;
মাঝে মাঝে বিষিয়ে তোলে এমন সব অধ্যায়।
আর আমরা সবাই দারুণ জীবন খেলায় মত্ত হই।