একা এই পথের ধারে আমি এক ছিন্ন মানুষ
মুকুলেই যাচ্ছে ঝরে উড়ছে শূণ্য ফানুশ।
দেখে যাও এমন মানুষ ঝরছে কালে,
ফুটবে সেই গোলাপে,ফুটেছে সেই অকালে।
পথে পথে মিলবে সখা জীবনের আম্রপালী।
কাল দেখি সেই ভ্রমরে ঝরছে সুপ্ত কলি।
চোখ মেলে যা দেখেছি, তা সব মিথ্যে লাগে,
মিলছে যা জীবনে, দেখেছি তা অনেক আগে।
দেখা দাও বন্ধু-সখা এ আমার মৃত্যু ক্ষণে,
বলে যাও তেমন কথা; লিখেছিলে তোমার মনে।
না বলা যুগের ব্যাথা রেখে আর লাভ কি বলো?
হিসেব খাতায় শূণ্য টানি, মিটে যাক আজকে চলো।
বলো সব হয়নি বলা এমন কথা, দুঃখ স্মৃতি,
শেষ কথা হয়না বলা, জগতের এইতো রীতি।
লিখি যতো ছন্দ কবি, তোমাদের অন্ধ বনে,
বিধবায় রং মাখে আজ সেজেছে নব্য কনে।
রং দেখ হায়, ঢং ধরে সব মুখোশ মানুষ তাসের ঘরে;
প্রেম প্রেম অন্ধ জুয়ায় বেঁচে ফেরে, আবার মরে।
বেঁচে গেলে করবে কি আর সেইতো মরণ।
জীবনের যুদ্ধ ক্ষণে নিতে হয় যেমন বরণ।