কেউ শুভ্র বৃষ্টির কথা বললে;
জান্নাত আমি, তোমায় দেখিয়ে বলি-
ঐ দেখো কিভাবে প্রক্ষালিত হয়ে যায় দুঃখ !
আর কেমন বৃষ্টি চাও ?
ক্লান্ত নাবিক সমুদ্রের বিশালতা চাইলে ,
তোমার চোখের গভীর দেখিয়ে বলি-
শত নাবিকের আকাঙ্খা ও চোখ ।
তোমার পুতুল গড়ন কায়ার মায়া,
থমকে দিয়েছিলো একটা আস্ত শহর ।
সে নগরে এখনো ফুল ঝরে তোমার নামে ,
সরবরে পদ্ম হয়ে ফোটো তুমি-জান্নাত ।
নিরঙ্কুশ ভালোবাসা চাইলে কেউ;
তোমার হৃদয়ের মতো চৌকঠে দাঁড়াতে বলি ,
আরও বলি-
জান্নাত নিষ্পাপ প্রেমের উপাখ্যান ।
তার মতো কাউকে খুঁজে নাও- হে প্রেমিক ।
তোমার পাঁজর ঘেঁষে আমার জন্ম হয়;
তোমাকে ঝুঁকে দেখতে গেলেই,
আমি ঝর্ণার মতো ঝড়ে পড়ি-
তোমার তনুর জোয়ারে- জান্নাত ।
মনের ভেতর আবেগ মিশ্রিত শ্রদ্ধা ,
নিত্যকার বেঁচে থাকার গল্প তোমার-আমার ।
তোমাকে মনে রাখবার কারণ জানতে চাইলে ;
উদার আকশ দেখিয়ে বলি-
জান্নাত তোমার সীমানা হয় নাকি ?
হয়তো অজ্ঞাতনামা সূত্রের বলয়,
ধাঁধাঁ ময় মৃত্যুর সনদ হবে তুমি-
তবুও তোমার বুকের গোরস্থানে
আমার দাফন হবে ।
তোমাকে ছুঁয়ে দেখবার অভিলাষে ,
আঙ্গুলে আঙ্গুলে মনন কোলাহল !
ভূমিষ্ঠ হয় কোমল চঞ্চল প্রেম ।
অদিতির মতো পরম বিবিধ তুমি -
অলির সত্তা ধারণে সবিতার মতো পুষ্প,
আকুল প্রেমিকের তরে -
প্রভাতে শীতল শিশির।
বিধিতে তুমি-
আমার একান্ত প্রেয়সী- জান্নাত ।