দহনে মানুষ পোড়ে ধরণীর বাঁকে-বাঁকে
ধ্বসের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে স্বপ্ন ;
তবুও ক’জন নির্বোধ উঠে দাঁড়ায়
নাড়িয়ে দেয় রাষ্ট্র , সমাজের নাড়িভুঁড়ি ।
দেখেও না দেখার ভান হয় ফুটপাতে !
ডাস্টবিনে ময়লার আদলে গড়ে ওঠে-
মানবতা,ক্ষুধা আর দরিদ্রের রাষ্ট্র ;
গনতন্ত্রের ভোট গণনা হয়না এখানে ।
পেট মেরে লাল-নীল অট্টালিকা –
মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়না ,
নিচতলায় থু থু ফেলেনা কেউ ।
কুকুরের সঙ্গে ভাগাভাগির মেলা বসে –
ছিড়ে খায় নোংরা সাধুদের বার্গার,
আরও কত কি !
জট লাগা অনুদানে,
নিজেদের দাড়িগোঁফে জট লাগে-
পরিধানে লাগে সুইয়ের আঁচড় !
মুখ থুবড়ে রাস্তায় আয়েশি ঘুম হয় –
মশাদের মিছিলে হয়- মৃত্যুর চাই স্লোগান ।
পোকা দেয় স্বপ্নের ভাঁজ-ভাঁজে
ঘর পুড়ে গেছে ,সন্তান মরে গেছে ;
অর্তনাদে প্লাবিত হয় আমলাদের পকেট
রাজ নেতাদের পাখি ওড়ে ছুইচ ব্যাংকে !
ফুটপাতে ট্রাফিক লাগে নিয়ন আলোর
প্রেমিকার ইচ্ছে ওড়ানো বিলাসীতা-
এখন ফুটপাত ।
অথচ নির্ঘুম ক্ষুধা যন্ত্রনা কেটে যায় দুখুর ;
আঁচলে মুখ লুকিয়ে খাবার কুড়ায় ফেলানি !
পাশ ঘেঁষে যাওয়া,
না দেখার ভান করা আমি –
সুশীলদের লজ্জা লুকাই দম্ভের রুমালে ।
নিজেদের কালো ছায়ায়, সাদা কাফন জড়াই
দূষণ রোধের স্লোগান তুলে-
আমার এখন চারখানা পাজেরো- পার্কিং এ ।
সন্তানেরা স্বাধীনতার স্লোগান দিতে দিতে-
বিদেশি গ্যারেজে বাঙালী বংশদ্রুত !
ফুটপাত এখনো মিডিয়ার উন্নতি খোঁজেনা ।
বস্তিবাসি স্যাটেলাইট শুনে শুনে –
রেশন কেনে সস্তায় ;
বস্তা ভরে কাঁধে তোলে দূর্দশা আর মৃত্যু ।
শরীরে লেগে থাকা পারফিউম,
ডাস্টবিনে লাগে না –
কাকেদের পরিচ্ছন্নতা সমাজে সাধেনা !
কাঁদেনা আর মৃত্যুর মিছিল দেখে ;
তবুও দশ তলায় লেগে আছে
পোড়া মানুষের গন্ধ-
আর ফুটপাতে পেট পোড়ানোর দহন ।