এতটুকু বিচ্যুতি যেনো মৃত্যুর সামিল।
ঘোর স্বপ্ন ভেবে ভুলে যাওয়া বিচ্যুতি,
গলা চেপে ধরে মধ্য রাতের আলাপনে।
তবুও মেঘ নামতে দেইনা কেউ।
বৃষ্টির পানে চাতক হবার আকুতি ,
নিমিষেই জীবনবোধের গভীরতা হয়।
শব্দের ঝুলি আকড়ে ধরে কলম,
আকড়ে ধরে কবিতার দ্বন্দে বিস্ময় পৃথিবী।
বিস্ময় কখনো সম্পূর্ণ প্রকাশ হয়না ;
গোপন বিস্ময় প্রকৃতির মতো।
তবুও সরে যাচ্ছি নিজের পৃথিবী থেকে,
নিরব স্রোতের ধারা হয়ে ।
জীবনের খরতায় ভেসে যাচ্ছে
প্রেমহীন সাজোয়া ভেলা ।
সুতো কেটে ঘুড়ি উড়ে গেছে গন্তব্যহীন ভাবে,
দ্বিধাহীন আঙ্গুল ছুঁয়ে দেবার ইচ্ছেতে;
সরে যাচ্ছি ছুঁইছুঁই অন্ধকার ঘেঁষে।
নক্ষত্রের পৃথিবী থেকে সহস্র মাইল দূরে।
নিভৃতচারী হয়ে খুঁজে ফিরি দেয়ালে দেয়ালে
খেয়ালের বোধ শূন্য মস্তিষ্কের সঙ্গে,
নিকোটিন দ্বন্দের দুই দেশ।
নিঃশেষ হয়ে বেঁচে ফিরি শহরের আনাচেকানাচে
লিখতে হবে আরও একটা নগ্ন কবিতা ।
স্যাঁতস্যাঁতে মনের কোণে চেপে বসা অভিলাষ
পাড়ি জমায় অজ্ঞাত রমনীর দিকে –
যে নুপুর পায়ে,
ঝর্ণার জলে শব্দ মেলাতে ভালোবাসে,
সে কি জানে শাশ্বত কেউ একজন;
বদ্ধ ঘর থেকে শব্দের তাল গোনে ।
চলো পা ভেজাই শোনবার আকুতি নিয়ে
অন্ধকারে ডুব দেয় শাশ্বত অন্ধ সত্তা ।