এইযে টুকরো বিচ্ছেদ নিয়ে,
তোমার সঙ্গে সময়ের ব্যাবধানে খুচরো আলাপন।
বুঝতে কি বাকি রইলো তোমার ?
পাশে বসা মানুষটা তোমার মৃত্যু আটকে দিলো।
নিজের ভেতর জ্বলতে থাকা আগুন দমায় রাইখা,
তোমার জীবনের অতর্কিত দমকা-
বিচ্ছেদ য্যন্ত্রনা ভুলিয়ে দিলো।
তুমি টের পেলেনা!
যুগান্তরের বিলাসী বসন্ত ছেড়ে আসা কুয়াশার খেয়াল বুঝলেনা।
যান্ত্রিক আওয়াজের প্রখরতায়,
তোমার হ্নদয় নির্বোধের আহাজারী শুনতে পেলোনা।
প্রচন্ড চুমু, মৃত্যুর মতো ভালোবাসা সব আড়াল করে,
শুধু মুগ্ধতাটুকু তোমারে দিলো।
তুমি টের পাওনি না?
তোমরা টের পাওনা না?
কংক্রিটের রাস্তায় ফসকে পড়ে,
ছিলে যাওয়া হাত-পায়ের মতো-
জর্জরিত জীবনের জ্বালাময়ী ব্যর্থতা গুলো,
দৃষ্টির গোচর- পর্দার ওপাশে।
আকাশের দিকে ছুড়ে দেয়া বোধ-
তোমার চৌকাঠে এসে কড়া নাড়ে।
অথচ মৃত্যুর মতো গভীর ঘুম তোমার!
তোমরা টের পাওনা না?
সুইসাইড নোটে ঝলসানো আবেগ-
সিলিং এ ঝুলন্ত লাশের হ্নদয়।
মায়ের ফোন কলে চাকুরী প্রাপ্তি-
বাবার অনুসারী না হওয়ার অভিমান,
তোমার পাড়ায় খবর রটায়নি না?
বিবাহের সানাই এ সংসারের বার্তা ,
উদযাপনে রাজকীয় সোফার দম্ভ।
ছাড়াছাড়ি হলে মুখ লুকাও কেন তবে?
দু:খ নিয়ে বালিশ ভেজাও ;
পাশে বসা মানুষটারে বড্ড পরখ করার প্রবণতা তোমার।
অথচ তুমি টের পাওনা!
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে গড়া মানুষ অবিশ্বাসের পরে-
আর একটা ভাঙ্গা মানুষ গড়ে,
নর্দমায় পড়ার আগে টেনে ধরে।
তোমরা প্রতারকরে সিংহাসনে বসাও,
ঘাতকরে বানাও রাজকুমার,
প্রায়শই প্রতারনা করা নারীকে-
পুজো দেও মন্দিরে।
মদিরা খেয়ে মাতাল হও;
পাশে বসা মানুষটারে বুঝতে পারোনা!
তোমারা টের পাওনা না?
অন্তরে জমা মেঘ দম্ভের শিকড়ে বাইন্ধা ;
সাজসজ্জার উনুনে ন্যাপকিনে রক্ত মাখাও-
দুষ্টু লোকের উপমায় বিছানায় গা ভাসাও।
তোমার দু:খে সময় বেঁচা মানুষটারে চেনোনা!
পাশের সিটে বসা মানুষ রূপী শকুন -
তোমার শরীর কামনা করে
বাধা দিতে পারোনা,
শকুন চোখ উপড়ে নিলেনা।
তোমার সত্তার মুখে চুনকালি দিলো -
তুমি টের পাওনা না?
শুধু নির্বাক-ধূসর মানুষটার ভেতর খুঁড়ে,
ওজন স্তরে অতিবেগুনী রশ্মি ছেদিত-
ক্ষতের পরিমাণ মাপলে না।
প্রকৃতি জুড়ে প্রশ্বেদন,ব্যাপনের মুগ্ধতা-
কারোর বোধ হয়েও হইলোনা।
তোমরা টের পাওনা না !