কেল্লার নিচে ভুতুড়ে গলির নীল বাতি
নিস্তব্ধ শহরে কালো দৈত্যের হুল্লোড় -
মধ্যরাতে হঠাৎ বেজে ওঠা হিন্দি গান
বাকের ভাইয়ের নতুন জেলবন্দি জঠিলতা!
ভোরবেলা দেখি দঁড়িতে ঝুলে আছে অজ্ঞাত লাশ।
যুদ্ধে যেতে হবে ভেবে বেল্কুনি ঘেঁষে প্রেম
দূরের আকাশে ভেসে ওঠা অজ্ঞাত নারী-
কবুতরের চোখে দেখা নিজের ঠিকানা,
সকালের ঘুম দুপুরে গড়ালেই বিষণ্ণ রিংটোন।
মধ্যাহ্নভোজে হাইব্রিড মাংসের বিশাল আয়োজন।
একরাশ স্বপ্নের ঘোর নিয়ে ঝর্নায় ভেজা শরীর;
নিংড়ে আনা শ্যাম্পুর প্যাকেটে জীবনের খোঁজ।
তালপাতার বিড়িতে ঠোঁটের কালো জং আর ভঙ্গুর চুমু -
রাস্তায় মেলে ধরা সদ্য ফুলে ওঠা ধপধপে সাদা বুক,
চোখের নরকে পুড়ে গেলেই নিস্তেজ হওয়া শরীর।
কলোনির দমকা হাওয়ায় গাভাসিয়ে বলা,
বন্ধুর কাছে ভেড়া অষ্টাদশী যুবতীর নগ্ন শরীর স্মৃতি-
মাঝে মাঝে নির্ঘুম যন্ত্রণায় জানালার গ্রীল ধরে বসে থাকা!
ঘুরে ঘুরে ক্লান্তির সরবত গিলে সন্ধ্যে বেলা ঘরে ফেরা।
ফাঁপা বুকে নিসঙ্গতার বিষণ্ণ দুর্বার সাইক্লোন।
ছায়া লুকিয়ে রেখে গভীর রাতে দেখতে থাকা
সুন্দরী বৌদির রুপ চর্চার মেকি রংঢং।
মৃদু আলোয় বর্গাকার অন্য জানালায় হঠাৎ চোখে ধরে -
বৌদির স্নান শেষে মুছতে থাকা ঝুলে যাওয়া তুলোর মতো মাই!
ক্রমাগত শুক্রাণুর নিম্ন চাপে পৈশাচিক বিদ্রহের আলামত।
বৃষ্টি নামলেই ঝাপশা কাঁচের দেয়ালের ঘাম
রাজু ভাস্কর্যের উল্টো দিকে ভাইরলা চুম্বনদৃশ্য,
জোড়ায় জোড়ায় ঘাপটি মেরে বসা প্রেমিক যুগল-
পার্কে কিংবা ফুটপাতে খদ্দের খুঁজতে থাকা নারী;
সত্তার শরীরে শকুনের খামচিতে নীল নকশা।