দেবী তুমি কেনো এত অম্ল মানে রাগো?
কুঞ্জ তীরে বসে তুমি আমায় শুধু ভাবো।
কুঞ্জতীরে ফুল কাননে মৌমাছি সব স্তম্ভ!
তুমি যাও নাই আজ মাখতে খোপাই ওই ফুলেরি গন্ধ।

কুঞ্জের রানী জলকন্যা তোমায় দেখে ভাবে।
কলসিটা আজ নেই যে পাশে, জল নিবে কিসে?
দেবী বুঝি মান করেছে, কোন সে সৌভাগ্যে?
হাসিঁতে ভরা মুখটাতে আজ ঘোমটে দিল যে!

কুঞ্জতীরের শুষ্ক নুড়ি মন খারাপে ভাবে।
একটা নুড়ি ছুড়লো না আজ কুঞ্জের ওপাড়ে!
গাল ফুলিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে এমন ভাবে আছে,
যেন মাথার উপর অভিমানের ডিব্বা ভরে গেছে।

কুঞ্জতীরের তালগাছটা ভাবছে গভীর বেশে,
চারটে তাল ফেললুম আজ দেবী আসেনি নিতে।
কোন সে সেই দেবপুত্র, কোন সে সেই মন লক্ষীনে,
যার তোয়ারে দেবী আজ নিজেরে যে ভুলিনে।