ধীরে ধীরে আমার ভেতর গড়ে ওঠে প্রাচীর;
তথাকথিত সভ্যতার।
আমি বন্দি হতে থাকি চার দেয়ালের বাহুডোরে।
আমার রক্তের রং গরল কালো
অনিঃশেষ হতে থাকি দূষিত, করতে থাকি দূষণ।
আমার চোখ হয়ে ওঠে আপন চোখেরবালি
নিশ্বাসে প্রশ্বাসে ঘনকালো কর্পোরেট ধোঁয়া।
জলের বুকে দেখা যায় পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চির দালান।
আমি বলছি কেউ শুনছে না
আমি চলছি কেউ দেখছে না।
ডুবে থাকা হয় শুধুই আমার আমিতে;
সাতশো কোটি মানুষের ভীড়ে আত্মগোপনে।
আমার দেহ ভরে আছে অসারত্বের আততায়ী কংক্রিটে;
আঘাতের, প্রতিঘাতের যন্ত্রণায়।
নশ্বর দেহের মাটিতে মিশে যায় হতাশা ;
উদ্বিগ্ন, অন্তর্দাহ, আমর্ষতার গুনগতমানে মাখানো সিমেন্ট।
আমি আঁধারের বুকে আলো দেখিনা
দেখি আলোর ভুবনে আঁধারের হাতছানি।
আমার প্রাণের অমৃতজল বেঁধে রাখে দাসদশার তীর।
জীবনের কালো স্রোত হয়ে ওঠে আত্মঘাতী, বেঁচে থাকি কঁচুপাতার জলে।
কোনো এক সবুজ বাতাসে যদি যায় আমার নিশ্বাস!
তবেই সার্থক পৃথিবীতে বেঁচে থাকার দেড়-সেকেন্ড।