দিনের পরে দিন, কখনো শীত কখনো বৃষ্টি ভেজা রাতে
পথ থেকে পথেই আমার পরে থাকা আশার ঝুলি নিয়ে হাতে,
একতাবধ্যহীন পথ আমাকে একটিবার বোঝার চেষ্টা করবেনা জানি,
বোঝার চেষ্টা করেনা কি আমার স্বপ্ন, কি আমার ইচ্ছে,
পরম সঙ্গি পথ আমার বাড়ে বাড়ে
শুধু ছুটে চলে ফাটল ধরা আমার খত-বিক্ষত রক্তাক্ত পায়ের বিপরীতে।
পথ চলছে কখনো একা আমাকে সঙ্গি করে
আবার কখনো হাজারো জোড়া পায়ের তালে বেতালে
হঠাৎ কখনো, যেন কোন কারনে সে দাড়ায় থমকে
তবু একাগ্রতা নিয়ে আমি পথ চলতে চাই প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির ছন্দমাঝে
এই পথের সীমান্ত আমার যদিও নাই জানা, জানবার কথাও নয়,
তবু থমকে দাড়াতে নয়, রেখেছি দুচোখ খুলে
আমি চাই সেই পথের সীমান্তে গিয়ে
নিজ পথের গল্প সমাপ্তির ঘণ্টা বাঁজাতে।
একা নই তবু যেন কত একা বহু একা,
সারাবেলা পথের ভীরে আমি যেন
চলছি কোন এক নিজস্ব পথে
বুঝতে বাধ্য হই, এই নিজস্ব পথটি আমারি আত্মজীবন।
এলোমেলো, অনিশ্চিত, ছদ্মবেশী পথে,খুঁজি তার মানে,
খুঁজি চারদিকে ছিটানো ভুল আর ভুলের মাঝে লুকোনো সেই স্বপ্নফুল
পরীক্ষা আমার, আমার মাঝে, সেই পথের চলার বাঁকে,
ছোট্ট একটি পাতায়,আমারি পায়ের ছাপের মঙ্গলচিহ্ন দিয়ে সাজিয়ে
অ্যাঁকে দিয়ে যাবো আমার আত্মসমাজ, সত্যের বীজ বপন করে।
জলের উপরে সুপ্ত শীতল মাটি, শীতল মাটির উপরে তপ্ত বালি ,
কাঁদা মাখা চাকা অথবা জ্বালাময়ী আগুনে পোড়া ভাগ্যের ঘুড়ি,
মিথ্যে আলোর ভেতরে গভীর অন্ধকার অথবা হৃদয় পোড়া অদৃশ্য ধোঁয়া
পথের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত নানারকম কত আজব আজব লীলা-খেলায়
ক্ষণে ক্ষণে রং থেকে ভিন্ন ভিন্ন রঙে,সব কিছু হায়,বদলে যাচ্ছে অবেলায়,
বিরুদ্ধে কিচ্ছু এই করার নাই আমার,শুধু দেখতে চাই কত কত রং আছে
বিরুধিতা প্রেমি এই পথের ভাঁজে, আমার এই একরোখা জীবনের মাঝে।
দিনের পরে দিন, কখনো শীত কখনো বৃষ্টির ভেজা রাতে
পথ থেকে পথেই আমার পরে থাকা আশার ঝুলি হাতে
একতাবধ্যহীন পথ আমায় একটিবার বোঝার চেষ্টা করবেনা জানি,
কি আমার স্বপ্ন, কি আমার ইচ্ছে,পরম সঙ্গি পথ আমার বাড়ে বাড়ে
শুধু ছুটে চলে ফাটল ধরা আমার খত-বিক্ষত রক্তাক্ত পায়ের বিপরীতে,
তবুও আমার চলতেই হবে কাটা তুলে কোন এক সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিপথে।