যেখানে ডাহুক গুলো ডেকেছিল অবিরাম
কাজলা দীঘির পাড়ে
পড়শির নৌকোটা কাদায় ডুবে ক্ষয় হয়েছে যেখানে।
টগরের ফুল মুক্তো ঝরিয়েছিল
আর,
সারস এসে খুঁজেছিল পুটিমাছ।

ঘাটের গাছটি স্মৃতির দায়ভার নিয়ে নিদারুণ যাতনায় বিদীর্ণ হচ্ছে যুগযুগ ধরে,
কোথায় নায়ের মাঝি, কোথায় শীত দুপুরের স্নানের মানুষগুলো!
বেড়ার ফাঁকে চাঁদের আহবান শুনে যেখানে  জোনাকিপোকা ভীড় করেছিলো কীটের বাঁশির সুর শুনে,
শ্যাওলা ঘেরা সরু খালের সাঁকো পেরুতে পাখির ডাকের মতো সেই সব শব্দগুলো জড়িয়ে ধরে বলে-
চলে এসো কবি, যেখানে আমি আছি,
যেখানে আমরা হারিয়ে গেছি অনন্তের পথ ধরে!
তারপর বিপন্ন নদীর পার ধরে হেঁটে হেঁটে শীর্ণ জলে গা ভাসাতে নাকে রুমাল চেপে ফিরে এসেছি আবর্জনা গায়ে মেখে!
কোথায় গাংচিল, কোথায় মহিষের গায়ে শালিকের ব্যস্ততা!
রক্ষক সব পাচার করছে ঘাম ঝরানো সোনার মানুষের সম্পদগুলো, আর মানুষগুলো ভীড় করছে প্যারাসিটামলের দীর্ঘ লাইনে।