জং-ধরা টিনের চাল
পুরানো লাউয়ের ডগায় শিশির বেয়ে পড়ে
একটা ফুল শুভ্রতায় ডুবে আছে,
চিন্তিত মুখ।
ওই দূরে হাট আছে, যাওয়ার রাস্তা নেই
পথে যেতে বড় দুটো কুয়ো;
এখানে তলানি জলে মশক পড়ে আছে
আর সবুজ ঘাস, আশপাশে।

রাজ্যটির রাজত্ব করে দাদাল চক্র
ওরা ও মুসলিম
রাখাইন, রোহিঙ্গা!
একজন মুহাম্মাদ বিন কাসেম নাই ওদের
একজন শাহজালাল,
যদি উচ্চকণ্ঠে ধ্বনিত হত আল্লহু আকবার
হিম হওয়া রক্তকণিকা জাগত আবার
ভিক্ষা দারিদ্র আর শোষণের অবসান হলনা আর।

এখানে হায়না আসে বন্ধুক কাঁধে
শক্ত বুটের তলে শিশুগুলো পিষ্ট হয়ে মরে
নারীগুলি নগ্নপদে টেনে নিয়ে যায় ঘর থেকে,
নাফ নদীতে ভেসে ওঠে লাশ
ক্ষতবিক্ষত
গলিত লাশ!

পশ্চিমা কিছু লোক আসে সাদা কাগজ হাতে
হেসে হেসে লিখে রাখে ইতিহাস
নিদ্রামগ্ন ইউনিসেফ তখন মদ্য নেশায় বুদ হয়ে থাকে-
আর জাতিসংঘের আদুরে বুলি-
থাকনা ওরা!