সুরভিত ফুল
কবি- বরুণ হালদার
তাকে বহুবার দেখেছি নন্দনে,
অনেক অনুষ্ঠানে কাছাকাছি এসেও,
কথা হয়নি কোনদিন।
লুকিয়ে চুরিয়ে দেখার মধ্যে,
একটা মাদকতা আছে,
তাকে দেখলে,
ফুলের শুভ্রতায় ভরে ওঠে মন।
এক রবীন্দ্র জয়ন্তী থেকে আর এক রবীন্দ্র জয়ন্তীর মধ্যে,
আমার বুকের মধ্যে একটা সবুজ বাগান তৈরি হলো।
তপ্ত দুপুরে রবি ঠাকুরের সুরে,
কিংবা শীতের গভীর রাতে
গীতবিতান বন্ধ করে,
আমি সেই বাগানে পায়চারি করি,
দিশাহীন পথিকের মত।
সময় চলে আপন ধারায়,
গত অনুষ্ঠানে খেয়াল করলাম, লুকোচুরি অভ্যাসটা শুধু আমার একারই নয়।
যাক তবুও ভালো,
আমার বুকের সবুজ বাগানে এখন
বাহারি ফুল ধরেছে,
ফুলের মাতালকরা সৌরভ
আমাকে পৌঁছে দিলো তার কাছে, পরিচয় পর্ব সেরেনিলাম অনুষ্ঠানের শেষে,
চারুকলা ভবনে।
তারপর নিয়মিত বাক্য বিনিময়
এমন পর্যায়ে চলে গেল,
রবীন্দ্রনাথ, ভীমসেন জোশি,
দয়ানন্দ সরস্বতী।
শুধু তাই নয়,
মেঘলা আকাশ না নীল আকাশ,
সমুদ্র না পাহাড়,কার কটা বিড়াল, কার কটা খরগোশ, কারণে অকারণে
প্রহর পৌঁছে যেত , কখনো পশ্চিমে, কখোনো বা পূবে।
আমাদের এতো এতো কথায় মধ্যে, ভালোবাসা শব্দটার মতো
কৌলিন্য হারানো সস্তা শব্দ,
আসেনি কোনদিনও।
কিন্তু যা এসেছে তা হলো,
উভয়ে উভয়ের প্রতি মনোযোগ,
গুরুত্ব দায়িত্ববোধ।
এমনও কিছু কথা আছে,
যা বলতে হয় না,
বোঝার মতো অনুভব
আর বোঝানোর মতো কর্মালংকার থাকলে,
উভয়ের বাগানে ফোটে সুরভিত ফুল।
... ... ... ...