সভ্যতার অবক্ষয়
বরুণ হালদার
হে কেশব,
তুমি আর কতদিন চোখ বন্ধ করে থাকবে।
সদ্য বেড়ে ওঠা ফুল বোঝেনা,
বিভিন্ন অছিলায়
পুরুষ অত্মীয়র বিভিন্ন রকম ছোঁয়া!
বিস্মিত কিশোরী জানেনা,
এ ছোঁয়ার অভিসন্ধি কতো গভীরে।
কোচিং ক্লাসে,
ভিড়ে ঠাসা বাসে ট্রেনে অসহায় অবস্থায়,
বিভিন্ন বয়সের পুরুষ
বিভিন্ন রকম ছোঁয়ায় লাম্পট্য প্রমাণ করে।
সংশয় বুকে নিয়ে
তিলোত্তমারা শিরদ্বাঁড়া শক্ত করে এগিয়ে চলে,
শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে
পুরুষের চোখে চোখ রেখে দক্ষতা প্রমাণ করে,
জংধরা সমাজের বুকে প্রগতি উপহার দেবার আশায়।
দিকে দিকে
কাপুরুষের পাশবিক পৌরুষ,
জেগে ওঠে যখন তখন
ধর্ষিত হয় তিলোত্তমারা
জঘন্য হত্যার সাক্ষী থাকে সভ্যতা।
ভাঙাচোরা মনে যেসব ফুল বেঁচে থাকে,
বেঁচে থেকে তারা প্রতিদিন মরে,
মেয়ে হওয়ার গ্লানি আজীবন বয়ে বেড়ায়
আধুনিক সভ্যতাকে
ধিক্কার জানায় তার অন্তরাত্মা।
হে মাধব! তুমি কোথায় !
কৌতুহলী হস্তিনাপুর বোবা কালা,
উল্লাসে ফেটে পরা দুর্যোধন দুঃশাসনের হাত থেকে
দ্রৌপদীকে বাঁচিয়েছো ভরা সভায় ।
দ্রৌপদীর জন্য যা পারো,
এযুগে তিলোত্তমাদের জন্য কেন পারোনা!
কেন ! কেন !
চোখ খোলো সারথী,
আর কতদিন তিলোত্তমারা
লোলুভ পুরুষের শিকার হবে ?
প্রকট হও হে মধুসূদন,
সুদর্শন চক্রের আঘাতে আঘাতে
ছিন্নভিন্ন করে দাও ধর্ষকের খড়্গ কৃপাণ,
সারা জীবন জ্বলতে থাকুক ধর্ষক, অনুতাপের আগুনে।
... ... ...