রবীন্দ্র উৎসব
বরুণ হালদার
কৃষ্ণচূড়া লাল রঙে সাজে,
পঁচিশে বৈশাখ আসবে বলে।
ডালে ডালে বাহারি আলপনা,
গরমে দখিনা বাতাস চলে।
রাধাচূড়া হেসে বলে,
কেন আমি রবো পিছে পড়ে।
আমার সোনালি আভা দিলাম,
পঁচিশে বৈশাখে উজার করে।
জারুল বেগুনি রঙ ছড়ায়,
পূণ্য তিথি পঁচিশে বৈশাখে।
দীপ ধূপ চন্দনে বেদী সাজে,
মিষ্টি স্রোতো ধারা আখে।
স্বর্ণলতা সোনালী আভা ছড়ায়,
উৎফুল্লিত সোনাইল ফুল।
পঁচিশে বৈশাখের সুগন্ধি ছড়াতে,
পথে ফুটে আছে বকুল।
বেলি গন্ধরাজ গন্ধ ছড়ায়,
পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্র পূজা তাই।
হিজলের ফুল আলপনা দেয়,
মিলি চাঁপার শোভা দেখতে পাই
এত ফুল এত ফল সব-ই ,
পঁচিশে বৈশাখের তরে।
বিশ্বকবি রবি ঠাকুর আছেন ,
সকলের অন্তরে।
মেঘ দিলো ঘনকালো ছায়া,
আজ রবীন্দ্র জন্ম তিথি।
হাওয়ার তালে বেণু বাজে,
মনে হয় রবীন্দ্র গীতি।
বৈশাখ মাসে ফুলের মেলা,
মৌচাকে যত মধু ধরে।
তার থেকে অধিক মধু,
রবীন্দ্র সাহিত্যের গভীরে।
যে ডুবেছে সে জানে,
রবীন্দ্র সমুদ্রের গভীরতা কতো।
আকাশে যত নক্ষত্র আছে,
তার সম্মিলিত আলো যত।
সে আলোর একটু আলোয়, আলোকিত হয় মানব চেতনার ঘর।
রবীন্দ্রনাথ সকলের আত্মার আত্মীয়,
বাঙালি অবাঙালি কারোর নয় পর।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ,
সাথে পঁচিশে বৈশাখ।
ধূপ দ্বীপ চন্দন রবীন্দ্র গীতিতে বেজে, উঠেছে মঙ্গল শাঁখ।
... ... ... ...