পতাকার পথ
            বরুণ হালদার

আগস্ট মাসের দিকে তাকালে
ভেসে ওঠে পূর্বপুরুষের আত্ম বলিদানের স্মৃতি।

স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে
অগণিত পূর্বসূরীর জীবন ছারখার
হয়ে ছিল তখন,
হালে জোগান না পেয়েও হাল ছাড়েনি
তারা।

খেয়ে না খেয়ে আতঙ্কে
রাত দিন এক করে,
ক্রুর শাসকের ক্রুরতা সহ্য করে,
কালকুঠুরিতে কিংবা হাঁড়িকাঠে হাসতেহাসতে মুক্তির স্বপ্ন দেখত।

মুক্তি এল ১৫ ই আগস্ট
সার্বভৌম দেশ পেলো
তিন রঙের পতাকা ।

যে সব সংগ্রামী পতাকা দেখতে পেল,
তাদের বুক ভরে গেল গর্বের বাতাসে,
শীর্ণ চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল দ্যুতিময় শান্তি,
আর যারা দেখতে পেলনা
তাঁরা রেখে গেছে মুক্তির পথ।

আগামী প্রজন্ম
স্নিগ্ধ শ্বাস প্রশ্বাসে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে,
মুক্ত মাটিতে ফেলবে মুক্ত পা।
গুটি গুটি পায়ে অনেক পথ পেরিয়ে,
অবক্ষয়ের পথে হাঁটছে মানচিত্র।

হিমালয় থেকে সমুদ্র মরুভূমি থেকে
সবুজ,
সুবিশাল জন‌অরণ্যৈ হারিয়ে যাচ্ছে
সু-পথের পথ।
যে গভীর আত্মপ্রত্যয়ে,
তৈরি হয়েছিল পতাকার তিন রঙ,
সে রঙের রং এখন বিলুপ্ত প্রায়।

নেতা মন্ত্রী আমলা যে যে যেখানে
বসে আছে,
ভুলে গেছে পতাকার তিন রঙের
ঐতিহ্য,
সর্বক্ষেত্রে  দুর্বৃত্তের দৌরাত্ম্য।

স্বার্থ লোভ লালসা আর
ধর্মের উলঙ্গ নৃত্যে
বিষাক্ত হয়ে উঠেছে সীমারেখা।

অসীমের দিকে তাকিয়ে
তেরঙ্গা আজো ওড়ে,
গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ
প্রতীকের পথের সাথে যেদিন
মিশে যাবে
প্রতিটি ভারতবাসীর পথ,
সেদিন ভারতবর্ষ আবার
স্বাধীন হবে নতুন করে।
    
              ... ... ... ...