কৃষ্ণকলি
বরুণ হালদার
নিন্দুকেরা তাকে কালো মেয়ে বলে,
আমি তাকে বলি কৃষ্ণকলি।
দেখেছিলাম কোন এক কবিতার আসরে,
কন্ঠে তার কবিতার ঝর্ণাধারা ঝরে।
তার বাগ্ময়তা শুনে,
কতরকম উথাল পাথাল আমার মনের ঘরে।
তন্ময় হয়ে চেয়েছিলাম
তার মুখের পানে,
জাদুকরি স্বর বসলো
আমার কানের অভ্যন্তরে।
চোখ পড়তেই তার চোখে,
দেখেছি বিদ্যুতের এক ঝলক,
সেই আলোতে অপার মায়া
জাগলো, আমার অন্তরে।
কালো বলে নিন্দুকেরা,
তার কত সমালোচনা করে।
তার মেঘমল্লার কেশরাজি
দেখলে পরে,
চোখ এক পলকও না সরে।
তার নাকের গড়ন হৃদয় হরণ,
যেন শ্যামের হাতের বাঁশি।
যে যা বলে বলুক আমায়,
আমি তাকে ভালবাসি ।
তার পায়ের নূপুর ঝুমুর ঝুমুর,
কোমরে চুলের গোছা নাচে।
আহা মরি মরি সে কি যে সুন্দরী,
কত শান্তি গেলে তার কাছে ।
হীরা চেনার চোখ আমার
চিনেছি আমি তারে,
হাসিতে তার মুক্তা ঝরে।
আমার সব অন্ধকার দূর হবে,
যদি সে স্থান দেয় আমায়,
তার অন্তরে।
মনের রঙ রঙিন হলে,
জীবন রঙিন হবে ঐ গোলাপ
কালো কায়ায়।
তাইতো আমার হৃদয় পড়েছে,
কৃষ্ণ সুন্দরীর মায়ায়।
সে যেমনই কালো হোক,
আমি দেখেছি তার গোলাপ
রাঙা মন।
তার মনের সাথে মন মিলিয়ে আমি,
করব তারে আপন।
কৃষ্ণ কালো জগত আলো,
তার হাসির রঙ আগুন।
তার কথা ভাবলে পরে
শীতল বাতাস,
সারা বছরই ফাগুন।
সে যেন বৃষ্টি ভেজা সদ্য ফোটা
কালো গোলাপ কলি।
নিন্দুকেরা তাকে কালো মেয়ে বলে,
আমি তাকে কৃষ্ণসুন্দরী বলি ।
।।। ।।। ।।।