হৃদয় গহীনে বাসা বেঁধে আছে স্মৃতিগুলো
কত স্থির হয়ে, ঠাঁই দাঁড়িয়ে ভেবেছি কি হলো!
স্বপ্ন নয়ত আকাঙ্ক্ষা, বিষের মত জমেছে বেশ
হাতে-হাতে, পাত্রে-অপাত্রে কত সে যাতনার রেশ!
মুখে নিয়ে মধু বাক্য, অন্তরে বেঁধেছে চাপা ক্ষোভ
আমি বলিনি, কারণ বলতে চাই নি শব্দ সেসব
তোমাদের সব শক্ত রশি মনটা বেঁধেছে ভারি
চোখের মনিতে আগুন নিয়ে মুখে যেন লাগাম পরি!
শব্দ বাক্য প্রতিটি হলো অভেদ্য বুমেরাং, জানো?
শব্দগুলো যখন বিষিয়ে উঠে যাতনা তখন শুনো?
তোমাদের প্রতিটি শব্দ কর্ণকুহরে মাদল দিয়ে চলে
পারি না! অস্ফুট শব্দগুলো হজম বিফলে
কাঁচা জীবনগুলো আর্তনাদে, দারুণ ভবঘুরে!
এ কেমন! তাজা প্রাণগুলো কুরে খাচ্ছে ঘুণে!
সাদা নয়-কালো নয়, ছড়াটা যখন হৃদয় ক্ষুধার
ছন্দ পতন হোক না তবে! কে তোমাদের বাঁধার?
ছন্দে যদি ছন্দ মেলাও, সুরে বাড়বে সুর।
একটু করে মিশিয়ে দাও না; মনের বিষাদ দুপুর!
তোমাদের সব জলমগ্ন কপল কেও বোঝেনি
তুমি বলোনি, বলতে চাওনি সেসব নিভৃত মন্ত্রধ্বনি
একবিংশ শতাব্দীর মুলুকে করুণ শব্দগুলো ফিকে
হিয়া-ক্রন্দন আর কত! তোমাদের চক্ষু দিক্বিদিকে!
চোখের কোণে জল জমে, মনে রেখো আরেক কাব্য
চক্ষু অগ্নী জলে বাড়ে,তরুণের গানে দেখে নিও অদ্য
ক্লান্ত দুপুর, ধোঁয়ার গন্ধ, দূরের ঐ ধূলামলিন গাছটা
তোমার পানে চেয়ে চেয়ে অশীতিপর চোখের পাতা!