কর্তব্য

    বর্ণালী দাস করণ

ইতি আজ খুব ভোরে উঠেছে
জীবন তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো,
তুমি আজ এতো ভোরে উঠেছো?
আমারতো কত কাজ আছে....
সব থেকে বড়ো কাজ হলো
প্রত্যেকের  মনোরঞ্জন করা ।
সকলকে সময় দিতে দিতে
নিজের জন্য সময় টুকুই  থাকে না,
তাই আজ একটু নিজেকে সময় দেবো ভেবেছি।
কতো টুকু পারবো তা জানি না।
জীবন হেসে  বললো কি হবে
সবাই কে এতো সময় দিয়ে?
কেউ কি তোমার মূল্য টুকু  দিয়েছে?
না দিলেও উপায় নেই ,
অন্যের আশ্রয়ে আশ্রিত আমি,
অন্যের প্রতিপালনের জন্যেই জন্মেছি।
জীবন বললো তুই তো কন্যা ,তুই নারী.....
তোকেই তো সারা জীবন অন্যের সব কিছু নিয়েই চলতে হবে।
এতে কষ্ট পেলে চলবে।
জীবন বললো কেনো এতো ভালোবাসিস সবাইকে?
কি হবে ভালোবাসে ?
ইতি বললো .…...
ঈশ্বরের  কথায়: উনি  বলেছেন কর্ম করে যাও
ফলের আশা করো না।
তা হলেই মরিবে।
ইতি আরো বললো ভেবেছিলাম
এরা আমার পরিবারে এরা আমার আপনজন
তাই ফেলে দিতে পারিনি। এখন বুঝছি আমার চিন্তা ও ভাবনা  সবই বৃথা।
নিজের ভালো লাগা,ইচ্ছে,আশা ,
প্রয়োজন সব কিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছি।
নিজের অধিকার গুলো অন্যদের বিলিয়ে দিয়েছি। কোনোদিন দাবি করিনি, এই হলো আমার অপরাধ।
এই অপরাধের জন্য ইতি নিজেই দায়ী।
সবাইকে কে সে আপন ভেবেছিল ।
আজ ইতি পরিশ্রান্ত ,ক্লান্ত সংসারের দায়িত্ব সামলাতে সামলাতে ।
আপনাদেরও কি ইতির মত এই টানাপোড়েন জীবন চলছে নাকি । আমার কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।