টেবিলের ওপর রাখা নীল খাম
পাশে স্বচ্ছ কাঁচে
কাঁচা আঙ্গুলের ছাপ,
চার্চের ঘড়িতে ঘন্টার ধ্বনি
ঘরের ভেতর বেসামাল বাতাস।
প্রাণের অস্তিত্ব শুধু
বেড়াল ভুনি আর আমি।
ভুনির চোখে অদৃশ্য এক ছায়া,
একেবারে শিথিল সেই চোখে
নিশ্বাসের আনাগোনা হচ্ছে কদাচিৎ।
বাবার হুইলচেয়ার দু’কামরার অন্তরে
মেঝেটা পরিষ্কার অথচ
ফেলে যাওয়া আঁধা পায়ের ছাপ
নিষ্প্রভ উপস্থিত।
টেবিলের পাশে আমার অবস্থান
কিছুটা ভীত, কিছুটা অস্থির
ভীত, অশুভ লক্ষণের অপেক্ষা
সহসা বজ্রপাতের আশঙ্কা।
অনীহ চিত্তে সম্মুখে গমন
প্রতি পদে ভাঙ্গছে জনম,
দোসর কামরায় এলোমেলো শাল
অসমান পদযুগল,
ঝুলন্ত বাবার দেহরুপ কঙ্কাল।
আমার পাশে শুধু ভুনির নিশ্বাস
অর্থব দুটি কায়ায়
অসহায় অবকাশ।
সংখ্যাতীত প্রশ্নের আজ নগ্ন উত্তর
চোখ আমার স্থির
বুকে শূন্যতার প্লাবন।