বড় সাধ ছিলো একটি কবিতা লেখার-
   যাতে লিখা হবে সন্তানের অবহেলিত বাবা-মা'রকথা
  আর তাকে বুঝানো হবে একটি সদ্যজন্মা শিশুকে দেখো
  তুমিও এমন ছিলে! যাদের হেলা করছ তাদের বুকের মমতায় বড় হয়েছ।
  
বড় সাধ ছিলো একটি কবিতা লেখার-  
   যাতে লিখা হবে বিপথগামী মানুষের কথা
   আর তাকে বুঝানো হবে তুমি যে বাহুর অহংকারে চলছ!
   তা নিরাকার একবিন্দু পানি থেকে সৃষ্টি।

বড় সাধ ছিলো একটি কবিতা লেখার-      
    যাতে লিখা হবে নিন্দিত মানুষের কথা
   তোমরা যাদের নিন্দিত বলে ঘৃণাকর আজ
   সেদিন সে তোমাদের মাঝে জন্মেছিলো নিষ্পাপ।

বড় সাধ ছিল একটি কবিতা লেখার-
   যাতে লিখা হবে নর্তকী আর পতিতার কথা
   পরিচয় করানো হবে তাদের, যারা এ পথে নিয়ে এসেছে ওদের
   রাতের আঁধারে বিনোদন করে, দিনের আলোতে নিন্দে!

বড়সাধ ছিল একটি কবিতা লেখার-
   যাতে লিখা হবে ব্যর্থ আর প্রতারিত প্রেমের কথা
   আর তাতে গাওয়া হবে শান্তনার সুরেলা গান                                              
বুঝানো হবে, কলঙ্কী করে বা এসিড মেরে প্রতিদান  দিওনা।

বড় সাধ ছিল একটি কবিতা লেখার-
   যাতে লিখা হবে বঞ্চিত আর দারিদ্র মানুষের কথা
  তাদের বুঝানো হবে হতাশা আর ভাগ্যবণ জীবন নহে
  সফলতা লভিতে হয় কর্মে আর গুণে।

বড় সাধ ছিল একটি কবিতা লেখার-
   যাতে লিখা হবে ধোঁকাবাজ দয়াল নেতার কথা
   আর তাতে উন্মোচিত করা হবে তার আসল রুপ!
নিজের স্বার্থে গরীবের হয়ে কাঁদে! পেটভরে যায় ভূখা মিছিলে।

বড় সাধ ছিল একটি কবিতা লেখার-
   যাতে লিখা হবে শাসকের অপশাসনের কথা
   আর তাতে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে-
   তুমি যাঁদের শাসন করিতেছ, তারা তোমায় শাসক বানিয়েছে।

বড় সাধ ছিল একটি কবিতা লেখার-
     কিন্তু আমি যে লিখতে জানিনা কবিতা
     দুঃখ-বেদনার কথা গুলো সুরের মালায়
      তুমি লিখে যেও হে মহান কবি।