পল্লীবালা ও শহরবানু

পল্লীবালা ও শহরবানু
কবি
প্রকাশনী মুকুল প্রকাশন
প্রচ্ছদ শিল্পী চারু পিন্টু
প্রথম প্রকাশ এপ্রিল ২০১১
বিক্রয় মূল্য ১০০

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

'পল্লীবালা ও শহরবানু' সমাজের চিরচেনা দুটি চরিত্র। একজন শত দুঃখেও সংসারের হাল ধরে নিজের সুখ অনুভব করে আরেকজন নিত্য ফ্যাশন করে নিজের মতোই চলে । এমনই সহজ সরল কথায় পাঠকের কাছে চিত্র দুটি ফুটিয়ে তুলেছেন আব্দুল আজিয়া সেলিম । কবিতার জমিনে তিনি শব্দচাষ করে তুলে দিতে চেয়েছেন পাঠকের হাতে কিছু চিন্তার ফসল। আর এমনই চিন্তার কয়েকটি কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে 'পল্লীবালা ও শহরবানু'র জমিন জমিনে ফলিয়েছেন প্রেম-ভালবাসা, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সমাজের অসঙ্গতি আর অনিয়মের কথা । বর্ণমালার হাত ধরে কবি শিমুলতলা হয়ে ফিরেছেন আপন গাঁয়ের হারিয়ে যাওয়া সিরাজ ভাইয়ের গরুর গাড়িতে। কিংবা মায়ের মুখের দিকে চেয়ে শুনিয়েছেন শান্তনার বাণী। বলেছেন আজো জেগে আছি আমরা মা-মাটি আর মানুষকে রক্ষায়। কখনওবা পল্লীবালা'র খুঁজে প্রেমিক বাউল হয়ে যান। মনের সুখে বলেন- পথের মাঝে পথ হারিয়ে পথ পেয়ে যাই পথে / ও পথ তুমি যাওনা চলে পল্লীবালার ঘরে।

শব্দচাষি আব্দুল আজিজ সেলিম একজন পরবাসীও। বিদেশ বিভূঁইয়ে হয়ে সদা করে যান শিকড়ের সন্ধান । তাইতো দেশের জমিন পার করার পর একজন পরবাসীর কাছে মা ও মাটি হয়ে ওঠে একান্ত আপন। দেশের কোনো নতুন লোক পেলে আপন ভাই ভেবে বুকে জড়িয়ে নিয়ে খোঁজ নিতে থাকেন নিজের মায়ের। এমন নানান আবেগভরা জীবনের পাতা থেকে নেওয়া কবিতায় কবি বলেছেন এভাবেই ওরে মানিক করে এলে, বল আমারে গাঁয়ের খবর, আমার মা কেমন আছে? কবির পরদেশ জীবনের যন্ত্রণা আর অভিজ্ঞতায় মানিককে বলেছেন দেশ ছেড়ে এলি তাই বুঝবিরে এখন মা আর মাটি কি জিনিস। পরবাসী যুবক অন্যদেশের বুকে নিজের দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন অনেক । আর তখনি সকল দলাদলির উর্ধ্বে উঠে রাজনীতির ঐক্য'র স্বপ্ন বোনেন আপন মনে । আপন ভূমি ছেড়ে আসার পর স্বদেশভূমি আর মা স্বর্গের চেয়ে দামি মনে হয় এই সহজ কথায় আবেগের নদীতে সাঁতার কেটেছেন পাঠকদের নিয়ে ।

প্রেম-ভালবাসার সাতরঙ ছড়িয়ে প্রকৃতির বুকে খুঁজেছেন কবি তার

মধুচন্দ্রিমা। হানিমুন কবিতার মাঝে তা ফুটিয়ে তুলেছেন। নিপুনভাবে। টাকাওয়ালা বন্ধুটি বিদেশে যখন হানিমুনের চিন্তায়। ব্যস্ত তখন একজন প্রকৃতিপ্রেমী যুবক বাঁশবাগানে চাঁন্দের লুকোচুরি খেলা দেখে তার প্রিয়ার সঙ্গে। হেঁটে যায় সবুজের কাছাকাছিতে। এ যেন আমাকে একটা সুন্দর অনুভূতি দাও, আমি তোমাকে একটা নতুন জীবন দিবো এমন-ই প্রকাশ। ভালাবাসার কাছে ভালবাসা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রেমিকের ভালবাসার কবর দিয়ে মা-বাবার ভালবাসার জন্য প্রেমিকাটা হয়ে যায় অনিচ্ছায় অন্যের বধূ। চোখের বারিন্দায় করে অঝোর বৃষ্টি । এমন নানা আবেগ আর সমাজের চিরাচরিত দৃশ্য কবিতার ছন্দে পাঠকের কাছে তুলেছেন কবি আব্দুল আজিজ সেলিম। তার চিন্তার খোরাক পাঠক হৃদয় ছুঁয়ে যাক। কবির এই চিন্তার সফলতা হোক। কবিতার চাষে কবি একজন দক্ষ চাষি হয়ে উঠুন। এই কামনা....

-প্রকাশক

উৎসর্গ

উৎসর্গ
যার আদর্শে বেড়ে ওঠা
বাবা ডা. মো. ফয়জুর রহমান
ও যার পরম মমতায় কবিতার ছন্দ মিলে গর্ভধারিনী
মা সুমিতা রহমান কে