তাকে নিয়ে ভাবনা গুলো হরহামেশাই অবান্তর
তারপরেও তার ভাবনাই ভাবি আমি নিরন্তর,
তার ছলনায় ভুলি আমি মেতে রই যুগ যুগান্তর
তার কপালের ভাজখানি যে অস্তগামী প্রভাকর।
ভূবন ভোলা হাসি যে তার চিত্ত কাব্যের সুধাকর
চঞ্চলা তার চালন চলন মনযোগ যে হানিকর,
তার সুবাসে পুষ্প ফোটে পাখিরা গায় অনশ্বর
তার ভাষাতে এক পলকে পাখির ভাষা ভাষান্তর।
তার নীলে যে আকাশ নীলা, সে যে নীলের মান্যবর
ভোরের হাওয়ায় স্নিগ্ধা সে যে, শিশির ভেজা কলেবর,
তার চাহনির তীক্ষ্ন বাকে, আমি হারাই মনের ঘর
তার কথা যে সঞ্জীবনী, অন্য কিছু তাসের ঘর।
তার ছোয়া যে শান্ত পরশ মনের খোরাক জীবনভর
তার হাসি যে মনোহারি আমার প্রাণে মধুস্বর,
তার ভাবনা আমার প্রাণের শূন্য বীণার নিত্যস্বর
তার সুরেই রাত্রি চলে ভোরের টানে রাত্রিভর।
আমার প্রানে খোদাই করি তার প্রানেরই সুখের ঘর
তার চোখেতে চোখ রেখে যে দেখি নীল ঐ রত্নাকর,
তার গগনে আমার ঘুড়ি খুজে ফিরে নীলাম্বর
সে যে আমার তিমির রাতে আলোর দিশার নামান্তর।