তোমার দীঘল চুল যেন ঢেউ জাগা নদীর উছলে উঠা জল
উছলে উঠে উন্মাতালে লেগে মৃদু হাওয়ার দোল,
সোনালী চিলগুলো মধ্য গগনে না জানি করে বসে ভুল
একি মেঘের ভেলা নাকি কোন জলপরীর ভেজা চুল।
রেশমি সুতোর কানন যেন ছুয়ে দিতে চায় মন বারে বার
একটু শীতল পরশে প্রানে লাগাতে দোল,
পাথুরে নদীর শীতল ঝর্নাধারার মত
বাকে বাকে আছরে পড়ে, পাহাড়ি মেঘ বালিকার স্কন্ধে
পূবালী হাওয়ায় দোলে উঠে ভায়োলিনের করুন ছন্দে।
ঐ বেনী করা চুল যেন হিন্দুকুশের কোন দূর্ঘম গিরিপথ
পথিকের ক্লান্ত ঘোড়া হোচট খাবে সেথা,
পাড়ি দিতে সেই পাথুরে পথ,
কি জটিল ধাঁধাঁয় রেখেছ ডুবিয়ে হেমলক মেশানো চুলের বেনী,
স্ট্যালিয়নের আরোহী মরতে রাজি,
খুজতে ঐ ধাঁধাঁর উওর, প্রান টা যায় তবু যদি।
তোমার ভেজা চুলের আড়ালে হাসে
ক্লিওপেট্টা, হেলেনের মলিন মুখ,
বিন্দু বিন্দু জলের ফোটা চিকন মুক্তোর মত ঝরে পড়ে
সাগরের নীল জলরাশিতে, করুন আর্তনাদে
জানিয়ে না শুকানোর আকুলতা ,
কারন, ভেজা চুলে তুমি আমার নাটোরের বনলতা।