সে আমার নীরব কাব্যের পংক্তিমালা
শত রংধনুর আবীরে রাঙ্গানো সুনয়না,
শান্ত দিঘীর জলে, মৃদু ঢেউ জাগানে সমীরন
শরতের মাতাল হাওয়ায় দোলা শুভ্র কাশফুল ;
শীতের সন্ধ্যার হাসনাহেনা সে,
আমার দখিনা হাওয়ায় ঘেরা, বাতায়নের শান্ত কূল।
আমার রক্তিম গোলাপের বৃষ্টিস্নাত পাপড়ি সে,
আমার বসন্তের হলুদ শাড়ি পড়া প্রিয় বাসন্তি,
রক্ত কণিকার নীরব স্পন্দন সে, মনোহারিণী।
হৃদয় বীণার ঘুম পাড়ানি গান সে, সুহাসিনী।
মনের ক্যানভাসে সে রংতুলির আলতো আচড়,
এলোমেলো ছবি আকে, মনের ভেতর দ্বিপ্রহর,
আমার গানের গীতিকাব্য সে, ভায়োলিনের সুক্ষসূর
দ্বীপশিখা সে আমার মনের; যেন সংগীত সন্ধ্যা সুমধুর।
আকাশঘেরা সাগর তটে সে আমার উদাস গাংচিল
বসন্তের প্রথম কৃষ্ণচুড়ার লাল বেনারসি সে,
সবুজ পল্লবের কচি কোমলতা সে,
সে আমার ভরা বর্ষার শাপলা ফোটা ঝিল।
আমার সবুজ ঘেরা পর্বতে সে হেলান দিয়ে ঘুমানো নীল আকাশ,
আমার এলোচুলে দোল জাগানো একমুঠো পূবালী বাতাস,
সে আমার ভাটির টানে ছুটে চলা এক শান্ত নদী
শ্রাবন মেঘের দিনে সে আমার গগনে অফুরান জলধি।