খুজি তার ছোয়া আমার নিষ্প্রান প্রাণে, আমার যাতনার যাতাকলে,
প্রেয়সির চেনা ঘ্রান, মন্তর প্রেমে দেয় সুর,
ঢেলে দেয় নদীর কলকল জলে।
তার দু'বাহুর উষ্ণ ছোয়া, কালের গভীরে নিয়ে যায় সব বেদনাকে,
উড়ন্ত প্রজাপতির মত, রঙিন ডানায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় শূন্যতাকে।
আমি ডুব দেই কোন এক অজানা পথে, অনন্তকালের যাত্রী হয়ে,
ফিরে আসতে চাইনা আর, চাইনা কোলাহল,
চাই শুধু থাকতে তার নীলকন্ঠ পাখি নিয়ে।
কচি শুভ্র ঘাস হয়ে, তার ইটের নীচে চাপা পড়তে চাই নিরন্তর,
অভিমানের চোখের জলে নিষ্পেশিত তার ডাগড় আখি, দেখতে চাই যুগ যুগান্তর।
সে যোগাবে আমার কাব্যের রসদ যুগে যুগে, পংক্তি, স্বরবৃত্ত, অন্ত্যমিল আর কত কি,
আদরের কবিতায় বুলাবে তার কালো আখি, থাকাবে সৃষ্টার দিকে,
নীরবে বুঝাবে ভালোবাসে নাকি।
ছুয়ে দেবে মন খানি নীরব উষ্ণতায়, বলবে কথা চোখের ভাষায়,
রয়ে যাবে রেশ তার আমার প্রানের কুঠরে , বেলা, অবেলা, কাল বেলায়।
আমি হাটব তার শান্ত নদের তটে, দেখব শরতের হাওয়ায় দোলা কাশফুল,
বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দ হয়ে ঝড়বে সে আমার প্রানে, ভেজাবে আমায়,
আমার কাননে হবে বনফুল।
বসন্তদূত হয়ে সে গাইবে আমার প্রিয় গান, হবে আমার বাঁশির রাগীনি,
প্রিয় সুরে ডুবাবে আমার ক্লান্ত দুপুর, হবে আমার অরণ্যের চঞ্চলা হরিণী।
আমার পুষ্প কাননে থাকে রাখব, গোলাপের অফোটা কলি করে,
দেবনা ফুটতে তাকে, ঝরে পড়ার নিত্য ভয়ে,
সে ছড়াবে সৈারভ বারে বারে।
তিমির রাতে সে জোৎস্না হয়ে, আমার ভূবনে ছড়াবে রুপালী পূর্নিমা,
আমার এলো চুলে দোল খাবে, পূবাল হাওয়া হয়ে আমার প্রিয় রমা।