দুঃখগুলোর পায়ে শিকল দিয়ে, নির্জন দ্বীপে দেব নির্বাসন
ঐ দূর পাহাড়ের নীলচে কোলে বসে, চাদেঁর সাথে হবে দূরালাপন।
তারাদের সাথে পাড়ি দেব শূণ্যলোকে, প্রকৃতির শুদ্ধ আমন্ত্রনে
বাতাসের ঢেউয়ে ছড়িয়ে দেব ইচ্ছেঘুড়ি, উড়বে সে নিজের খেয়ালে।
পিছুটানদের দেব একরাশ লম্বা ছুটি, হব আমি ভাবনাহীন মুক্ত বিহঙ্গ
স্বপ্নডানার ভেলায় ভেসে বেড়াব মাঠে বন্দরে, দুঃখদের করে নিঃসঙ্গ।
সবুজ সাগর পেরিয়ে যাব শুষ্ক মরুর বুকে, দেখব ভোরের আলো মাখা বালির সাগর
মেঘেদের দেশে দেব পাড়ি ক্ষনে আনমনে, দেখব গোধূলির রংচটা ধূসর।
শেষ বিকেলটা কাটাব সূর্যাস্ত দেখে, দেখব আলো আধারীর মায়ার খেলা
পেছনে ফেলে রেখে তিমির ইন্দ্রজাল, দেখব পাখিদের নীড়ে ফেরা।
মধ্য দুপুরে সূর্যের তেজ দেখব বেদুইন তোয়ারেগ হয়ে, হব প্রকৃতির শরনার্থী
হিমালয় সেচে এক টুকরো বরফ এনে, মেটাব আমার প্রানের আর্তি।
মালয় সৈকতে দাড়িয়ে পড়ব জীবনান্দের বনলতা সেন, আশ্রয় নেব কোন জিপসির ঘরে
কোন এক সবুজ উপত্যকায় হাটব, সোনালী চুলের কোন জিপসি মেয়ের হাতটি ধরে।
পাহাড়ের চুড়ার সন্নিকটে পাতব তাবু খানি, শুনব ক্ষুধার্ত শেয়ালের ডাক
ক্যাম্প ফায়ারের আলোর ঝলকে দেখব পৃথিবী, দেখব জীবনের অন্য বাক।
বেচে নেব আমি ছন্নছাড়া জীবনটা, মুক্তি চাই শৃঙ্গখলের মহা প্লাবন থেকে
পেছনে ফেলে যাব মহামায়া সব, অন্তিম কোন সূরের ডাকে।
গগনের নবনীলে হারাব হাজারবার, বধির হব জগৎতের সব কৃএিম মায়ার আহবানে
কেউ ডাকবেনা পিছু, মিছে মরীচিকা, মিছে মায়ার মিশ্রনে।