মানুষ, তোমার পরিচয় বিশাল সমুদ্রের ঐ ঢেউয়ের মত,
জলে'ই জন্ম তার, নিঃশ্বেস হয় তার প্রাণ এ জলে মিশে,
তুমি তো কাদা মাটির তৈরী খোদার পুতুল, মাটির দেহ সেত !
গ্রাস করে নেবে এই মাটি'ই তোমায়, তবে এত অহংকার কিসে?
যা কিছু তোমার তুমি নও দাবীদার, তুমি শুধু ভোগকারী,
তুমি জমিদার, লাট, চৌধুরী, তালুকদার, খাজনা আদায়কারী।
জন্ম রক্ত তোমার পরিচয় নয়, কর্মেই তোমার পরিচয়,
তবে কেন মিছে বংশ গৌরবে তোমার মন ডুবে রয়?
তুমি অর্থের বিনিময়ে কিনতে রাজি নরক, ফ্রিতে চাওনা স্বর্গ,
অন্যের জমি তোমার চাই, বানাতে সুরম্য অট্টালিকা, বাংলো অর্ঘ।
তুমি রক্ষক সেজে ভক্ষন কর, তবু মেটেনা তোমার ক্ষুধা,
তুমি নিরীহ মানুষের রক্তে হোলী খেলো, পরোয়া করনা খোদা।
তুমি মিছে মালিক বনে শোষন কর মহা মালিকের সৃষ্টিকে,
তোমার নিঃশ্বাসটা তোমার অধীন নয়, যান খোদার কৃষ্টিকে।
তোমার এই শোষক হাতখানি কারো করুনার দান,
কারো দয়ায় বেচে আছ তুমি, জান কত সে মহান।
যিনি করেছেন সৃষ্টি, তার কাছে সৃষ্টির কোনো নেই ভেদাভেদ,
তুমি বংশ, উপাধি, জাত তুলে মানুষে মানুষে জাগাও বিভেদ।
শেষ বিচারের দিনে তার আনুগত্য যেখানে তোমার রক্ষাকারী,
তুমি ব্যস্ত অর্থ, মিছে যশ, ক্ষমতা নিয়ে, বানাতে সুরম্য বাড়ি।