নির্জন শূন্যতায় ক্লান্ত পথিক চলে একা,
হাতড়ে বেড়ায় তার শ্বেত কুহেলিকা
তিমির রাতে, জোৎস্নার খোজে
একফালি অাধার ডিঙ্গিয়ে,
এগিয়ে যায় কোন সে পথিক
জীর্ন পাল তুলে, সোনার তরীর সেই অচেনা নাবিক।
পাহাড়সম দুটি ক্লান্ত আখি টেনে
চেয়ে আছে একদৃষ্টে শূন্য ভূলোকে,
কোন এক ধনাট্য দেশের সমুদ্র বন্দরে দাড়ানো
উসকো চুলের সেই জিপসি মেয়ের মত,
যে শুষে নিতে চায় বিশাল সমুদ্রের সব নীল
নোনা অক্সিজেন, কূলে আচড়ে পড়া আভিজাত্য যত।
কালের খেয়ায় চড়ে যে পথে এসেছে পথিক,
উগ্র স্রোতের টানে সে পথে খুয়েছে সব জানি
তারপরও ঠেলে দেয় জীবন, সম্মুখ পানে
কে আকড়ে থাকে পেছনে; কে দাড়ায় অপেক্ষায়
জানে সে হিসেব মিলবেনা এখন,
জানে স্রোত কভূ বইবেনা আর উল্টোপথে
বয়ে নিতে হবে সব, প্রশ্নবোধক চিহ্নদের কবর দিয়ে,
হোকনা সব রক্ত হীম, জীবন হোক যতই ফিকে।
যে প্রশ্ন জন্ম থেকেই উওরহীন আজ অবধি,
জামিন অযোধ্য অপরাধে অপরাধি যে প্রশ্ন নিরবধি
খুজতে যাওয়া তার উওর নিষিদ্ধ মানব সংবিধানে,
পথিক সব চেপে যায় যদিও বরফের অশ্রুবাণে,
তারপরও ; সবকিছু ভূলে আবারো দেখে রংধনুর র্স্পশিত স্বপ্ন যামিনী
অশ্রু সজল চোখে, তার প্রতিক্ষায়
চেয়ে আছে তার ঈপ্সিত মানবী।