প্রাণের অন্যদিকটা একটু দেখনা খুলে,
ডুকরে কেঁদে মরে বিষাদের নোনাজলে,
চাপা জলীয়বাষ্প হয়ে,
অনলের পাশে যায় রয়ে।
শত কালশিটে দাগে দগদগে ভগ্ন হৃদয়খানি,
কৃত্রিম হাসি, কবিতার রং দিয়ে ঢেকে রাখে জানি।
আঁধার রাতের সেই মুসাফির যেন পথক্লান্ত,
যে হারিয়েছে সব সম্বল, হয়েছে পথভ্রান্ত,
জানেনা তার স্বীয় মঞ্জিল,
যেন ফ্যাকাসে আকাশ নীল।
উদভ্রান্ত, তিক্ত হয়ে ছুটে জীবনের মায়ার ডাকে,
বীতশ্রুদ্ধ এক প্রাণ সারা দেয় জীবনের অন্য বাঁকে।
পথের টানে সব খুইয়েছে আজ এক নিঃস্ব প্রাণ,
তরীর ক্ষুদ্র পালটি ছিন্নবস্ত্র যেন অসাড় নিষ্প্রাণ,
খরশ্রোতা নদীর তটে,
পলি আজ জমেছে বটে।
তবু কেন যে পিছুটানেরা আকড়ে থাকে ভালবেসে,
ক্লান্ত পা দুটো কেন তবু সামনে চলে, শুকনো হেসে।
কৃত্রিম হাসিটা যেন তার আজীবন চির শত্রু, নিকৃষ্ট,
সব যাতনা চেপে রাখতে সে সদা সজাগ সচেষ্ট,
ক্লেশগুলো ডেকে দেয় চাদরে,
অকৃত্রিম ভালবেসে আদরে।
মানব চরিত্রের সব ফসল সে করে আবাদ নীরবে,
কালের খেয়ার মাঝি হয়ে পার করে দুঃখদের সগৈারবে।