আমার শূন্যতার অস্তাচলে কে নাড়া দিয়ে যায় নীরবে,
আমার মধ্য গগনে উড়ে কার পোষ মানানো সোনালী চিল
কার আচলে বন্দী আমি , কোন'সে কুহকিনী
কার মায়ার ইন্দ্রজালে আটকে আছি , কে তুমি ?
কে মিশে আছে আমার দিগন্তের ওপারে নীল আকাশে,
গভীর অরন্যের নীলকন্ঠ পাখি হয়ে কে পাড়ি দেয় নির্ঘুম রাত ,
কার কন্ঠে জেগে উঠি আমি, ভালবাসি কার ভেজা চুলের ঘ্রান ?
ত্রকি তুমি নাকি সে ? নাকি অন্য কেউ !
আমার ঢেউ খেলানো দীঘির জলে কে ভাসায় কাগজের তরী,
পূবালী হাওয়ায় দোলা দিয়ে যায় ফালিফালি কাশবনে
স্রোতস্বিনীর বুকে জাগায় ত্রক টুকরো চর , গভীর আনমনে
পরম মমতায় আগলে রাখে আমায় নিজেকে পাঠিয়ে নির্বাসনে ।
কার নুপুরের ছন্দে মাতি আমি , কার বৃষ্টি বিলাস দেখে হই মুগ্ধ,
কার জন্য রাখি আমি সঞ্চিত তীরের ফলা কার জন্য করি যুদ্ধ ,
কার জন্য পাড়ি দিতে পারি বিষাদ সিন্ধুনীল দূর্ঘম অরন্য,
কার জন্য বসে থাকি চৈত্রের প্রখর রোদে, মাঘের হিম রাতে
কার জন্য পাহাড় কেটে তৈরী করি কৃত্রিম গিরিখাদ,
কার পলকে ভুলি যাতনা অনুভবে পাই তীব্র সুখের আর্তনাদ ।
কার ছোয়ায় পালায় আমার ক্লান্তি, নিকোটিনের বিষন্ন অবসাদ,
সেকি সেই চোখ জোড়ানো স্বর্নকেশী নাকি তুমি অপ্সরী,
হায় ! ত্রখনো জানিনা কারে ভালবাসি আমি ।