তার ঐ কাজল চোখে দেখি জোৎস্না মাখা এক ফালি মায়া
আমি থমকে দাড়াই আনমনে, যুগল মায়াবী চোখের টানে
মেঘের ভেলায় চড়ে ঘুরি তার মনের অরণ্যের প্রান্তে
ভিড় করি যে তার মনে, ঐ কাজল চোখের প্রাণে।
আমার চোখ দুটি হয় যে পাঠক তার চোখের না লিখা কবিতার
পাঠ করে যায় নীরবে, চোখের ভাষার আশ্রিত আবিরে
নীরব ভাষায় রাঙিয়ে দেয় সে আমার নিষ্প্রাণ হৃদয়খানি
পিয়ানোয় তুলে সুর, তার চোখ গিলে নেয় আমার চোখের মণি।
এমন ডাগড় আঁখি যুগল আর কোথায় আছে বলনা দেখি
যেন মেঘে ঢাকা অরণ্য, প্রকৃতির মত তার লাবণ্য
বাবুই পাখির নীড়ের মত পলকে দোল খায় মৃদু হাওয়ায়
অলস দুপুরে আগলে রাখে আমায়, তার নয়নের ভালবাসায় ।
তার চোখের পলক দেয় থামিয়ে আমার পৃথিবীর সব ব্যস্ততা
শূন্যলোকের যত কম্পন, হৃদয়ের সব স্পন্দন
ঘুম কাতর আমার চোখগুলো ভালবাসে জেগে থাকতে তার চোখে
তার চোখ সাগরে ডুব দিতে চায়, দেখতে চায় গভীরতা কত তার বুকে।
তার ঐ চোখের চাহনি যেন হৃদয় জানালা ভেদ করা ভোরের রোদশিখা
কোন সমুদ্রের চোরাবালি, হৃদয়খানি আটকে যায় হয়ে তার কাননের মালি।
আমার যত অবসাদ ক্লান্তি তার চোখের পরশে পায় যেন শ্রান্তি
অগোছালো হৃদয়খানি আগলে রাখে তার নয়নে, ছুড়ে ফেলে সব ভ্রান্তি ।
১০.০৫.২০১৭