১.বৃষ্টি
বৃষ্টির সুরে নাচে প্রকৃতি, উড়ু মন ভাবে কার কথা,
ভবঘুড়ে মন আজ ভাবে, দোল খেয়ে যাকনা মনের পাতা।
প্রকৃতির নুপুরে নাচে ধরনী, কবিদের মনে ভাসে কবিতা,
রাখালের বাশিঁতে বাজে সুর, ঝিলের পানিতে সাজে কলমি লতা।
কবিরা লিখে শত কবিতা, বৃষ্টি আসে তাদের খোরাক হয়ে,
ধুলোবালি দেয় ডুব অজানায়, শুদ্ধতা সবখানে যায় বয়ে।
ধরনীর মৃদু এই শাসন খানি, হাসিমুখে সবজন যায় সয়ে,
উড়ে যায় সাদা বকের পাল, ডানা ঝাপটে গগনে বলে কয়ে।
২. এবং আমি
আমি ভাবি কার কথা আনমনে, সে যে আসে চুপিসারে মনের ঘরে,
মেঘে দেখি তার ঐ দীঘল চুল, মাতাল হাওয়ায় চলে সাতরে।
বৃষ্টির ফোটা যেন তার নোলক, কাচের চুড়ির মৃদু ঝংকারে,
বৃষ্টিভেজা কচি গাছের পাতা, বাতাসে দোলে তার হাসির তরে।
বসুধার স্নানে দেখি তার ভেজা চুল, তোয়ালের আবেশে আছে জড়িয়ে,
টিনের চালের ঐ বৃষ্টির নৃত্য, কার কথা মনে সে দেয় জাগিয়ে।
প্রকৃতির দোলনায় বসে কোন সে পরী, আমার মনে দেয় রং চড়িয়ে,
কফির মগে কে সঙ্গ দেয়, বৃষ্টিবর্ষিত বিকেলে পাশে দাড়িয়ে।