বিশ্ব-দূষণ
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

করছে শিশু দৃষ্টি দিয়ে গোলকটাকে পরখ,
মগ্ন এটি অসুন্দরে নেইকো কোন ঝলক।
স্বপ্ন তাহার ভাঙলো বুঝি উধাও হলো আশা,
গন্ধ বর্জ্য ভরা ভূবন মানব প্রাণীর বাসা।
দিচ্ছে না কেউ রেহাই একে যেন পায়ের বল,
থামছে নাতো কান্না তাহার ঝরছে মলিন জল।
দূঃখ হাজার নিসর্গের বাড়ছে দিনে দিনে,
ভূমির পরে চলছে দূষণ নিত্য বিবেক বিনে।
পানি দূষণ ঘটছে সদা নোংরা আবর্জনা,
রসায়নের বিষে সলিল ভুগছে জনে জনা।
বায়ূর দেহে কলুষ ভরা মানব দেহে রোগ,
ভিটা-জলের সকল প্রাণী করছে অসুখ ভোগ।
গাছ-গাছালীর কমছে আয়ু হচ্ছে নিপাত ঝাঁক,
পাখ-পাখালীর রুগ্ন জীবন কণ্ঠে করুণ ডাক।
শব্দ দূষণ ঘটছে বিরূপ সুস্থ মানুষ কালা,
সবার পরে মানব দূষণ জ্বালার ওপর পালা।
মূল্যবোধের ঘটছে দূষণ সত্য বিবেক উধাও,
বালুর বুকে পালটি তুলে চলছে কিরূপ নাও।
`গ্রীন হাউজের বিরূপ ক্রিয়া চিড়ে’ ওজন লেয়ার,
হচ্ছে ধ্বংস যা আছে সব নিসর্গের ঐ ভাঁড়ার।
বরফ যুগ হারিয়ে গেছে পাথর যুগের ব্যথা,
শেষ হয়েছে মধ্য যুগটি রেনেঁসার ঐ কথা।
লাগাম ছাড়া হচ্ছে বিনাশ বিশাল পরিবেশ,
বিশ্ব-দূষণ ঘটছে দায়ী মানব জ্ঞানের রেশ।
চলছে দূষণ জুড়ে ভূবন সকল ভূষণ বিনা,
এই ধরণীর জীর্ণ আকার কেমনে যাবে চেনা!