স্বাধীনতার ভাবনা
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

দু’আঙ্গুলের মাঝে একটি কলম
স্বতঃস্ফুর্ত ছড়িয়ে যায় রকমারী ফুলের পাপড়ী,
মুক্তির আনন্দে দোল খেয়ে খেয়ে।
লিখে যায় বসন্তের মর্মকথা,
গ্রীষ্মের অফুরন্ত উল্লাস, পাখীর কণ্ঠকে  
আরো সুললিত করে তোলে নান্দনিক ছান্দসিক
স্বাধীন কলম। কলমের কল্পনা বিচরণ অবিনশ্বর।
বুনো হাওয়ার স্পর্শে ঝরে পড়ে পাতা
স্বাধীনভাবে। মুক্তির আনন্দে বৃষ্টি
মেঘের হৃদয় হতে ঝর ঝর করে নেমে আসে।
গোছা গোছা আগাছা, কচুরিপানা
উদ্দাম গতিতে আলু-থালু জন্ম নেয়
ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত পুষ্পবঞ্চিত আপদ ভূমিতে।
শিশিরের স্বাধীন টুপটাপ যেনো হৃদয়ের আনন্দ অশ্রউ
আলোছায়াতে। বাতাসের মতো মুক্ত স্বাধীন
আর কেহ নয়। মানচিত্র দোল খায়
স্বাধীন শিশুর চোখের আলোতে।

মহাবিশ্ব স্বাধীন। ঝুলন্ত পৃথিবী
এক নিয়মের পরিধিতে আটকে আছে।
শুন্যের খাঁচায় কখনও অশান্ত হয়ে ওঠে।
দুঃখের কত কথা এর হাসির সাথে গেঁথে আছে।
প্রতিটি চেতনার চোখে স্বাধীনতার পুষ্প
প্রস্ফুটিত হয়, তবুও মানুষ রিরংসায়
হারিয়ে ফেলে এভারেষ্টের চুড়ার গল্প।
পৃথিবীর ওপারে, মনের ওপরে ওঠার
সকল সিঁড়ি বিধ্বস্ত দেখে তারা।
স্বাধীনতা পাওয়ার যে আনন্দ,
তার চেয়ে গভীর আনন্দ তার সাথে একাত্ম হওয়া,
এর মর্যাদা রক্ষা করাই সত্য শাশ্বত আনন্দ।