বর্ষাকাল
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী
অফুরন্ত শান্তি সুখ আর মোহনীয় হিমের ঋতু,
কোমল রূপালী পোষাক পরে ছড়ায় উর্বরতা,
উত্তাপ নিহত করে বন্ধাত্ব ঘুচিয়ে দেয় বৃষ্টি।
আকাশের ভুরু ফেটে বেরিয়ে আসে বজ্র, শিলা ও বিদ্যুৎ
জলদ হতে জল জাগিয়ে তোলে নিসর্গের শুষ্ক আত্মা।
এই ব্যস্ত আশা, সঙ্গীত ও শক্তির ঐশ্বরিক সময়ে
অপেক্ষমান মাঠে চাষের দেহ হতে বেরিয়ে আসে লভাংশ,
নীরব বিষ্ময়ে ঘটে রঙীন আকার ও উৎপাদনের প্রাচুর্য্য
কীট-পতঙ্গ ছন্দময় করে তোলে বছরের শান্তির গান
চাষীর বুক ফেটে ঝরে পড়ে বর্ষার মতো সহজ সুর,
মন্ত্রমুগ্ধের মতো নিশ্ব।স ফেলে যায় অবিরাম অঝোর ধারা।
এই নিঃসঙ্গ পথিকের আগমন সবাই অবগত,
জীবন দান করে যায় অকাতরে অনেক গতরে,
ভয়াবহ দৈনতার পর ঘোষণা করে নতুন স্পন্দন,
প্রকৃতির তাজা ভাণ্ডার হাতে অসীমতার অপেক্ষায় থাকে
বর্ষাময় ভূমি বিকশিত হয়ে ওঠে ফসলের আধিক্যে,
শুষ্ক জমির ফাটল হতে বেরিয়ে আসে সাহসী বিদ্রোহ,
অকৃপণ দাতার কাছে বোকা বনে যায় দরিদ্র দেশ।