রাজর্ষির গর্বিত গান
গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী

সুনিপুন আকাশের তলে এইতো এখানে
পুষ্পক বাতাসের ভরে
রঙধনুর ঢেউয়ের নমূনায় এক নর্তকী
প্রপাতের মতো সুন্দর যৌবন তার
তবু গাছ হতে উড়ন্ত পাতার মত ঠাঁই নেই
কোথাও আমাদের!
পৃথিবীতে পথ নেই
তাই এসো সূর্যের তলে বাসা বাধি।ঁ

মোষের জোড়া জোড়া অভিজ্ঞ শিংয়ের মত  
রাতের গাঢ় অন্ধকার নেমে এলো গভীর সূর্যাস্ত থেকে
সাগরে জলহস্তীর চেষ্টায় সময়কে বিধ্বস্ত করে
আমরা টিকটিকির কথা শুনি, হৃদয়ে আঁকি
বাঘের নির্মম চেহারা, বৃষ্টির লম্বা লম্বা
আঙ্গুলের ধারায় ইঁদুরের মত শান্তি নি’
চুপিসারে কোন নীরব স্থানে, নেমে আসি ঠান্ডা অন্ধকারে
একটি কৃষ্ণ কুকুর যুগ যুগ যার শুধু ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে।  

আমার হৃদয় কাঁদছে কয়েকটি
শব্দ প্রতিরোধক কারাগারে, বাক্সে, আলমারিতে,
সময়ের ক্ষয়িষ্ণু গর্ভে কালের বীজ
শক্তির মত নিষ্পাপ মুষ্টিতে আবদ্ধ
আমরা তাকিয়ে দেখি সমস্ত অস্তিত্বের মতো একটি পাখি উড়ে যায়
পালকে গেঁথে নিয়ে ঘন্টা মিনিটের একটি ঘড়ি।

এইতো এখানে তাকিয়ে দেখো একটি ফলক
কয়েকটি নাম আমি চিনতাম—
আবহাওয়া দলিত বিচ্ছিন্ন পৃথিবীর,
হঠাৎ বজ্রের অলংকারিক শব্দে নেচে উঠলো
আমার রক্ত নেশায় কৃষ্ণ কুকুরটি,
শিশুদের কাছে সে এক প্রিয় শিহরণ
আমার নিকট ছিল একদিন, এরপর
জীবনে স্বপ্ন এলো
হাতড়ে দেখি—
পূর্বপুরুষের হাড় নিয়ে গাঁথা একটি সাঁকো,
পার হতে পা পিছলে এলিয়ে পড়ব, হায়,
কৃষ্ণ কুকুরের ধারালো থাবায়
বহু বাসনার মতো কামনার আকাঙ্ক্ষিত বাহুতে।