সবুজ গম্বুজ  
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী  

ধরণী যখন অধর্ম অসত্য অন্ধকারে অচল
সচল শুধু দেহখানি আত্মায় ধরেছিলো জং
আলোর ঠিকানা হারিয়েছিলো কোন অতলান্তে
নফ্স আর শয়তানের রাজত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি
মর্তে সৃষ্টির মহান বলতে অবশিষ্ট কিছুই ছিলো না
সীমিত কিছু হৃদয়ের স্পন্দন কি যেনো পাতিপাতি খুঁজে হয়রান
এরূপ এক সচেতন মুহূর্তে উষর মরুর
উষ্ণ বুক হতে এক বিশাল রশ্মি
উদিত হয়ে ধাবমান হলো অনন্তের পথে।

মানবজাতি ফিরে পেলো পথের ঠিকানা
হৃদয়ের অন্ধকার আলোর ইশারায় উদ্বেল
মসীমাখা প্রান্তরগুলো জ্যোতির ঝলকে ঝলকে
সফেদ আকারে হতে লাগালো উদ্ভাসিত
হিকমত ও প্রজ্ঞায় নুরাণী গ্রন্থ নেমে এলো সত্য নূর হতে
সৃষ্ট নূরে বিভাসিত হয়ে উঠলো ১২ই রবিউল আউয়াল।

শুরু করলো গোলাপ তার নতুন সুগন্ধ দিতে
জোছনা ও নক্ষত্রের বিভা বসন্তে অর্থ খুঁজে পেয়ে গেলো
শাশ্বত নিসর্গের সবুজ আঁচলে রংবেরং-এর হাসি উঠলো ফুটে
সকল শিল্পে কর্মে জাগলো নতুন জাগৃতি
খুলে গেলো হাজারো প্রাণের তৃতীয় নয়ন
নতুনভাবে উন্মোচিত হলো কুদরতের চিরন্তন খেলা
তুরুটিগুলো ভেঙে ভেঙে খসে পড়লো
নবুয়তের রিসালাতের অভিভাবক মর্তে সমাসীন
উম্মী ফায়েজে খুলে গেলো সৌভাগ্যের দ্বার।          

ঐ যে মসজিদে নববী
ঐ যে সবুজ গম্বুজ
দেখা মাত্রই পড়তে হয় হৃদ-আকর্ষণী দরুদ
প্রাণের গভীরে নেমে আসে এক উদার শান্তি
সবুজ গম্বুজের তলে সালামের উত্তরের আশায়
যে দরুদ সালাম হবে শাফায়াত কঠিন মুহূর্তে;
আমি এখন কিছুই বুঝিনা, কিছুই জানিনা
চারিদিকে দেখি শুধুই চোখের অন্তরের সামনে ভেসে আসে
আমার চতুর্দিকে ঘিরে আছে একটি গম্বুজের লক্ষ হাজার সবুজ গম্বুজ
১২ই রবিউল আউয়ালে কোন অজানা অনন্ত হতে যার আগমন।