রোমন্থন
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

ঝরঝর বরষা হতে তন্দ্রাবেশ লতিয়ে উঠলো,
ঝিরঝির বাতাস হতে এক অঞ্জলী হালকা আরাম
বেরিয়ে অবশ করে দিলো আকাঙ্খার আকুতি।
গভীর চিন্তায় তরুশিখর এদিক ওদিক
উদ্বেগে আন্দোলিত, অনাবিল আস্তস্থ কোথাও নেই।
সূর্যের হালকা রঙ এ সময়ে পৃথিবীটাকে
বিষয়ের এক মলিন ফিতা দিয়ে বেঁধে ফেললো।
সচকিত সবাই দেখলো সমস্ত ফসলের প্রাণ
হতে বিন্দুবিন্দু আড়ম্বরহীন কান্না অঝোরে ঝরছে।
কোকিলের পালকও খসে পড়ছে, খসে পড়ছে গোলাপ-পাপড়ী।
ভালোবাসা তাও নেই- যদিও হৃদয়ে ফুল, চোখে অভিসার,
মানব অভিজ্ঞতায় এক নিদারুণ কষ্ট যেনো চারিদিকে,
শুধু রাত কেবলই বাড়ছে দীনহীন কান্তিকর রমনীয় কবিতায়।
হঠাৎ হাসির লহর উঠলো নদীর স্রোতধারার মতো,
বিশ্বের বিশালতা ফুটে উঠলো কম্পমান প্রতিটি ঢেউয়ে,
আকাশের আলোর আড়ালে অনেক পৃথিবীর অবস্থান
মানুষ জানে না, জীবন তারার মতো মিট মিট করে নিভে যায়।
আমার ভিতর বাহির বর্ষায় ভিজে পবিত্র হতে চায়,
কিন্তু এতোটুকু স্থান নেই যেথায় নিরবে ভিজতে পারি,
আবার মৃদু কান্নার সাথে হাসির শব্দ ভেসে আসে,
অবসাদের মধ্য হতে নির্বোধ ক্লান্তি এসে
আচ্ছন্ন করলো পাতিপাতি আমার সমস্ত সত্ত¡া।
আমি অবহেলায় ঘুমোতে চেষ্টা করি,
আর কতোকাল যুদ্ধ করে যাবো-রোমন্থনে স্বপ্ন নেই,
আর কতোকাল যে সুর বেসুরো হয়ে আছে
সেটা একটি গানে পেয়ে যাবো!
অন্ধকার আকাশের বৃষ্টি তখনও ঝরছে
কিন্তু আমার চেতনার সমস্ত বাতায়ন শুধুই দরিয়ার ঢেউ গুণছে।