অনুসন্ধান
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

বাশের ঝাড়গুলো ইতস্তত: অসংখ্য উদ্যামতার কানন,
এক নীরব মহিমায় তারা উন্নত জীবনের অঙ্গীকার।
মানুষের তীক্ষ্ন ধীশক্তি সবুজ কাঠিন্যে অনেক
উঁচুতে উঠে নক্ষত্রের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখে।
এরূপ গ্রথিত বৃত্তির কাননে অন্য জীবের প্রবেশ অনধিকার চর্চা,
তবু মানুষ কি কখনো পুরোপুরি মানুষ ছিলো!
মানুষ কি কখনো পুরোপুরি মানুষ ছিলো!
সিংহ তো সিংহ ছিলো, হরিণ তো হরিণ ছিলো,
দোয়েলের বদল হয়নি কিছুই, কাক তো
একই রবে ভোরের বুকে ওঠে জেগে আজও,
আপেল-কমলার স্বাদ খুব বিব্রত করেনি কোনদিন,
মানুষ কি তখনো পুরোপুরি মানুষ ছিলো!
রজনীর আবেশে চাঁদ কিরণ দেয় তাজমহলের চুড়োয়
অথবা কিরণ দেয় বন্য উদ্যামে জঙ্গলের নিভৃত স্থানে,
অথবা চাঁদকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেয়
দরিয়ার অশান্ত বন্ধুর বুক নিরবচ্ছিন্ন শব্দ তুলে,
শিশিরকে ভারী করে তোলে প্রকম্পিত স্বচ্ছ, কিরণ,
জোনাকিরা ফুটে ওঠে তারার গৌরবে,
অন্ধকারের বুকে পাখিরা ডাকেনা কখনো,
তখনো মানুষ প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত থাকে।
মানুষ কি কখনো পুরোপুরি মানুষ ছিলো!
হিংস্র ইতিহাসের প্রতিটি লাইনে আশার বেদনা
ও দূ:খের উল্লাস এখনো কেঁদে কেঁদে শুকিয়ে আছে।
মানুষ মানুষের কঠিন হৃদস্পন্দন, বেদনার উচ্চারণ,
একটি মানবীয় মূহূর্ত খুঁজে পাওয়া হতাশার অবসাদ,
মানুষ কি কখনো পুরোপুরি মানুষ ছিলো!
সুনীল বাঁশঝাড়গুলো শুধু অবাক হয়ে দেখছে
কিভাবে মানবতার নিরব ক্ষয় ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।