টোকাই
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী
টোকাই, সত্যি সে বোকাই
বুদ্ধি তার চোখের ধাঁধাঁয় আবদ্ধ
কিলবিল ধুপধাপ তার আনাগোনা
ডাষ্টবিন আর স্তুপের আশপাশ
টোকাই, সত্যি সে পোকাই।
টোকাই, সমাজ দেয় তারে ধোকাই
আজ, কাল, পরশু হয়নি খাওয়া
বড় বাড়ির পাশে কাগজে বিস্কুটের
গুড়া চেটে পায় সে নিম আস্ব।দ
তাড়া খেয়ে খেয়ে চলে সে টোকাই।
পুনরায় লাফ ঝাঁপ, স্তুপ হতে স্তুপ
ডাষ্টবিন হতে ডাষ্টবিন -
এর মাঝে হোটেলের পাশে ঝরে পড়া
কুসুমের গুড়া খেয়ে শুরু হয় ব্যাথা
পেটে হাত দিয়ে বলে’ আমি যে কেন কোকাই?’
বলে সে আমি কি কোনদিন কারো ঠকাই?
স্থির হয়ে পাথরের শূন্যতা নিয়ে উঠে বসে
নুড়ির মতো গড়াতে থাকে, ¶য় হতে হতে
শীর্ণ পাতের মতো চলেছে টোকাই,
বুঝে ওঠার আগে আরো ¶য়ে যায়,
¶য়িষ্ণু চোখের ধাঁধাঁও কেটে যায়,
খাদ্যের প্রহরী হিসেবে গুদামের
দুই ইটের ফাঁকে বালুকনা হয়ে
পিষ্ট হয়ে মিশে থাকে চিরকালÑ
বছরে একদিন অধিকারের কথা শুনাই
গাল ভরা নামে তাকে ডাকি টোকাই’Ñ
নিঃস্ব বিবেকহীন পৃথিবী ও মায়ের নিকট
থাকে সে শুধু খোকাই।