পচাব্দী গাজী
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

হঠাৎ কিসের ঘ্রাণ ভেসে ওঠে বাতাসে,
অনাবিল মহীরুহ জাকজমক চারিদিক
সবই ঠিক আছে, ডোরাকাটা হিংস্র সন্ত্রাস
আরামে খুঁটে খুঁটে খেয়ে যাচ্ছে মুল্যবোধের শাঁস,
প্রশান্ত সপ্নিল আবেশ হতভাগা পরিবেশ,
চারিদিকে অজস্র থাবার অন্ধকার আনাগোনা।  

সভ্যতার ঘর কলঙ্কিত করেছে অসভ্য জনপদ বহু আগেই,
কোথায় লুকাবে মুখ, সৌন্দর্যের গভীর
হতে ভ্যাপসা গন্ধ বাতাসের মসৃণতার
ওপর ফেলেছে প্রলেপ, কে বলে সভ্য
এই একবিংশ শতক। যুদ্ধ দৈন্যতার
হাহাকারে পিছলে পড়েছে এর বিবর্ণ চেহারা।

নোংরা অন্ধকারে ভনভন করে উড়ছে
সভ্যতার মাছি যদিও বিনয়ে কাগজে কলমে
রেখেছে দাবী শুধু, চেতনা এসেছে সত্য,
বেঁধেছে বাসা যার ঘরে সেই দিয়েছে
ডুবিয়ে এক ঘৃণ্য সংকীর্ণ স্বার্থপরতার অতলান্তে।
সভ্যতা চেনা যায় আবেগে ও জ্ঞানে।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিকারী পচাব্দী গাজী  
যার তীক্ষ্ন দৃষ্টি সুন্দরবনে ঝরতো যখন
বিষন্ন হয়ে পড়তো রয়েল বেঙ্গলের হুঙ্কার,
অর্ধ শতাধিক শত্রুর মোকাবিলায় বিজয়ী বীর।

অন্ধকার হতে আলোর ঘরে আজ ঢুকেছে যে বাঘ
কোথায় করবে তারে সবলে চিহ্নিত,
এতো অপচ্ছায়া মিশেছে হৃদয়ে যে কে কোথায়
নাড়ছে লেজ, ঠুন শব্দে করে যাচ্ছে স্তব্ধ কোকিলের স্বর।
তবুও নেই কোন উম্মাদনা, অপার বিশ্বাসে রয়েছে ধৈর্য,
কোথায় পচাব্দী? হিংস্রতার অপার শতরু মহাবীর?
অনাগত ঘরে ঢোকার আগেই বাঘের গুড়িয়ে দাও অসভ্য শির।