নতুন তরঙ্গ
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী
দরিয়ার বুক চিরে উঠছে ফুঁড়ে এক নতুন তরঙ্গ,
সকল দিগন্ত আজ দিশেহারা,
আকাশ বাতাস সলিলে যতো কোলাহল
নবো এক পার্থক্যের বিভূতি সৃষ্টির লীলায়,
নতুন তরঙ্গের কীর্তি চুমো খাবে ভবিষ্যতের গলায়।
সেথায় সাগরে বিশাল বিস্তৃতি
তরঙ্গ দিগবিজয়ী উল্লাসে মাথা ফুঁড়ে ওঠে।
উর্মির ভয়াবহ বিশালতা দেখে
পৃথিবীর সকল উচ্ছৃঙ্খল অপশক্তি কম্পমান,
বিষন্ন চঞ্চলতা দূর্বল আবেগ ছড়িয়ে রঙচটা
বেখাপ্যা ছবির মতো হারিয়ে যায়।
নতুন তরঙ্গ জেগে ওঠে ভাসিয়ে নিতে
যুদ্ধবাজ খ্যাতিধারীর আগ্রাসী দুঃস্বপ্নগুলো।
বাস্তবিকই চারিদিকে অজস্র পরাজয়,
অন্য কোনো কুদৃষ্টি, দুঃর্গন্ধ ও নতুন মুখোশ
আর নেই, অন্তিমতা অদূরে অপেক্ষমান,
তরঙ্গ পৃথিবীর কিনারে ক্রমশ বিশালতা ছড়িয়ে
এগিয়ে এসেছে আর্ডেনের বনের মতো।
নতুন শতাব্দীর মাঝে ধন্য তরঙ্গ
সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার ন্যায় আবির্ভূত।
বিশাল প্রকৃতির প্রতিনিধি, ঝড়ের মতো উম্মাদনা নেই,
শুধু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে গতো এক শতাব্দী
ধরে পুঞ্জিভূত বারুদের কঙ্কাল আর
ঘৃণায় ঢাকা পড়া বেহায়া জ্ঞানপাপীদের
পচাগলিত হৃদয়ের গন্ধময় আবর্জনা,
নতুন তরঙ্গকে জানাই উষ্ণ স্বাগত।
এই সুন্দর পৃথিবী আমাদের মাঝে গোলাপের মতো
পৃথিবীর শত্তুরু মানুষ, মানবতার শত্তুরু মানুষ,
মানুষের কলঙ্ক নিবারণে মানুষ আইন রচনা
করে, কারাগার গড়ে, ফুলের ধ্বংসকে
বাঁচানোর জন্য নগরে নগরে ঝুলতে থাকে ফাসির মঞ্চ।
নতুন তরঙ্গের শেষ অস্ত্রপচার ধীরে ধীরে
এগিয়ে চলে দিন রাতের বিধস্ত ক্লিনিকে।
কোথায় ভালোবাসা প্রেম শান্তি আনন্দ!
বহিয়ে দাও তোমাদের মুক্ত জোয়ার দিকবিদিক,
অপবিত্রতার সকল অনুষ্ঠান হোক নিশ্চিহ্ন,
সত্যের শৃঙ্খখলে গ্রথিত হোক সারা বি(শ্বর নিভৃত প্রাণ, দিকবিদিক
নতুন শতাব্দীতে নতুন তরঙ্গের ওপর ভেসে
উঠুক নূহের কিস্তীর মতো একটি শুদ্ধতম জাহাজ।
ধীরে ধীরে নবো আনন্দে সৃষ্টি ফিরে আসুক
আপন লীলায় তার আগেই বিষ্মিত হোক
উন্মুক্ত পৃথিবী নতুন শপথের অঙ্গীকার নিয়ে।
মানুষ জেনেছে বর্ষার পরেই ফুলের সমারোহ,
মানুষ জেনেছে জোয়ারের পরেই আশার উৎসব।