শ্রেষ্ট ডায়ালগ
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী
(এক (স্র।তস্বিনীর পাশে আমার সুন্দর
ফুলবাগান। সেখানে আমি মন নিয়ে
খেলা করছি। হঠাৎ এক বিশাল মৌপোকার
ঝাঁক প্রবেশ করলো।)
আমি: এখানে কি চাও তোমরা?
মৌপোকা: নম্র সূরে বললো আমরা মধু নেবো।
আমি: পরের কানন হতে সম্পদ নেবে কেনো?
মৌপোকা: এ সম্পদ আমাদেরই, দেখছি তুমি
ভারী লোভী ও হিংসুক।
আমি: ভেবে চিন্তে কথা বলো।
মৌপোকা: কি জ্ঞান ও শক্তি তোমার, পাপড়ী ও
ফুল থেকে মধু নাও তো দেখি?
আমি: ও কাজ আমার নয়।
মৌপোকা: তুমি পরজীবি। তুমি ডাকাত। এখন
আমাদের তাড়াচ্ছ। চাক ভরলে আবার
তাড়িয়ে মধু লুট করবে
আমি: তোমরা পাপড়িতে বসলে ফুলের রূপ
হারাবে।
মৌপোকা: তুমি কি রূপ সাথে নিয়ে জন্ম নিয়েছো? কি এখন
হারাচ্ছো? কি নিয়ে আবার যাবে?
তুমি তো স্বার্থপর
আমি: তুমি তো দেখি ভারী বাচাল।
মৌপোকা: তুমি রাগ করোনা। তোমাকে
একটু জ্ঞান দিলাম, তুমি অনেক জ্ঞানী।
আমি: আচ্ছা বেশ। যাও, যাও।
(এই কথা শোনা মাত্রই হাজার খানেক মৌপোকা
আমার ওপর ঠানডা মাথায় বসলো।)
আমি: (স্বগোক্তি):তাদের উজ্জ্বলতা আমার কৃষ্ণ
হৃদয়ে প্রবেশ করলো। আমি এক
অব্যক্ত মহানন্দ অনুভব করলাম।
এ এক নতুন জ্ঞান, সে এক নতুন অভিজ্ঞতা।
মাটি উজ্জ্বলতা পেয়ে গেলো। আমার উজ্জ্বলতা
আর মাটির উজ্জ্বলতা এক হয়ে নিমেষে বাগানকে
আলোকিত করলো। তারপর এই শ্রেষ্ট ডায়লগ অনন্তের ইতিহাসে
রচিত হয়ে হারিয়ে গেলো।