হাতি ও পিঁপড়া
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী
বিশাল হাতি চলতো ফেলে ঠিক থামের মতো পা,
থেঁতলে যেতো পোকা-মাকড় আর ছোট্ট জীবের গা।
`বাঁচাও বাঁচাও, গেলাম মরে’ , শুনতো না কেউ কথা,
দুঃখ তাদের বাড়তে থাকে বুঝতো না কেউ ব্যাথা।
সভা ডেকে বসে সবাই করলো আলোচনা,
পিঁপড়ার ওপর পড়লো যে ভার ছোট্ট পোকা কণা,
শাস্তি দিতে হবে হাতির ভাঙতে হবে বড়াই,
চুপি চুপি চললো পিঁপড়া করবে না`ক ডরাই।
ওই যে হাতি এসে গেছে ঢুকলো কানের ভেতর,
বললো হাতি, ‘এই যে কে তুই, দিচ্ছ জোরে কামড়’।
ফেলবো তোরে মেরে আমি দেখবি তবে মজা,
কানের ঝাপটা দিয়ে বলে `আয় বেরিয়ে সোজা’।
হাতির কথায় কান না দিয়ে কামড়ে দেয় যে কুট,
বিপদ দেখে বিশাল হাতি, দেখ মারছে জোরে ছুট।
`কেঁদে-কেটে মাফ করে দাও, হায় বাঁচাও’ , বলে কর,
মারবো না’ক পিষবো না’ক, ছোট্ট পোকা-মাকড়।
অনেক জায়গা নিয়ে হাতি লাগায় যে খত শুড়ে
ছোট্ট প্রাণী দেখলো সবাই অরণ্যের পথ জুড়ে।
বন্ধ করে পিঁপড়া কামড় আসলো বাহির হয়ে,
শুড়ের ডগায় বসলো এসে, ওই, দেখ যে তাকিয়ে।
সেদিন হতে হাতির হলো তাই পোকা-মাকড় ভাই,
ছোট-বড় মিলেমিশে চললো পথে সবাই।
হলো সবাই খুশী এখন নাচতে থাকে হাতি,
জীব সকলে বললো এখন করবো চড়ইভাতি।
পিঁপড়া ভাঙে বড়াই হাতির কামড় দিয়ে কানে,
এমন বিপদ ঘটতে পারে ছোট্ট ঢেউ-এর বানে।