একুশ আমার একুশ বিশ্বের
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী
বায়ান্নর স্বদেশ ভূমির হৃদয় হতে একদিন
উচ্চারিত হয়েছিলো হাজারো প্রেমের গান,
উত্তাল তরঙ্গে লুটোপুটি খেয়েছিলো অনেক তিমি,
যাদের বুকের বর্ম হতে ঝরেছিলো নিবিড় প্রবাহ,
হে বীর বায়ান্ন, তোমার নিশীথ শেষ আজ।
এরপর এসেছিলো পরিবর্তন প্রতি মুহুর্তে মুহুর্তে
যা স্থান করে নিয়েছিলো জীবনের প্রতি
নিবাসে নিবাসে, বিজন প্রহরে, অবশেষে
ঝর্না হতে যেথায় সমুদ্রের তুমুল মিলন,
হে বায়ান্নর একুশ, তুমি অসীম পথের যাত্রী।
সেই হতে বহুদিন এমনিভাবে গেল গড়িয়ে
স্মৃতির বুননে অমর অনেক শহীদের কথা,
প্রতিটি আকাঙ্খা জেগে জেগে হয়েছে উৎসব,
একুশের সীমা পার হয়ে যায় কঠিন বেদনা,
দূর বন্ধুর কাঁটাবন আঁধারে ঘেরা,
ফেব্রুয়ারীর একুশ ফুটে উঠে আজ প্রভাতের ফুল।
একুশের সূর্যে সকল ভাবনা নিশীথের চির বিদায়
মুক্তির সনদ নিয়ে দেশ হতে দেশান্তরে
স্বাধীন পালকে ক্লান্তিহীন একুশ এগিয়ে চলে,
বাঙালীর ভাষা দিয়েছে খুলে বিশ্ববাসীর প্রাণ,
একুশের রেণুতে জন্ম তাই বিশ্বমাতৃভাষার রঙিন গোলাপ।
ফেব্রউয়ারীর শহীদ দিবস বিশ্ববাসীর চেতনায়
ঝরিয়ে দেয় মুক্তির শাশ্বত বর্ষণ,
হৃদয়ের কান্নার ওপর ঝরে তাই আনন্দের দীপ্তি,
একুশ আমাদের পার হয়ে বিশ্বে চলে গেল শান্তি দিতে।