প্রতিধ্বনি
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

আমি দেখলাম একটি সাগর, দেখলাম একটি পাহাড়,
সূর্য পাখা মেলে সোনালী ঠোঁটে রাঙালো দিগন্তের আকাশ,
আলো পড়ে ঝলমল করে উঠলো যতো মৃত আত্মীয়ের হাড়,
সুদীর্ঘ কবরের পথে নেই কোনো ষ্টেশন, থামবার অবকাশ।

সবুজের কম্পমান পথে চললো আমার দৃষ্টি ও পা,
পুরাতন এক নতুন ছন্দে বিঁধলো আমার একান্ত আগ্রহ,
তবুও লাভের ঘর শূন্য, বুঝলাম এ জীবন সত্যই ফাঁপা,
ক্লিষ্ট হৃদয়ের ছবিতে কোথায় এতোটুকু সত্যাগ্রহ?

সাগরের ঢেউ ও উপত্যকা হতে ছুটে এলো কবিতার উচ্চারণ,
থেমে গেলো প্রকৃতির সকল বাঁশরী, বাতাসে নেই কোনো ধ্বনি,
হাসিমুখে ভাদ্রের চাঁদ উত্তর দিলো, ‘নেই কোনো বারণ,
অনেকদিন পর হাজির হয়ে শুনতে এসব প্রতিধ্বনি।’

চাঁদের মতো একখÐ ভালোবাসা রাঙিয়ে দিলো এ জীবন,
সন্ধ্যার অন্ধকারে মলিন কুয়াশায় সে আসে ধূসর বিছানায়,
বাগানের আগাছাগুলো মনে হয় মুক্তার আচ্ছাদন
যার ওপাশে কবিতা আমার সাথে কথা কয় অজানায়।

অসত্য অসত্যের আঘাতে মর্মাহত, এ ভূখণ্ডে দেয় শাস্তি,
কবরে সুনীল ঘাস জন্মাতে এ বিভ্রান্তের এতো আয়োজন,
ওদিকে মূল্যবোধের অত্যাচারে জর্জরিত এ হৃদয় হাস্তি,
কোনো বসন্ত দুয়ার নেই পালানোর, শীতে বৃদ্ধ আজীবন।
যদিও আমার উঠানে দেখো একটি লাজ নম্র আম্র বৃক্ষ,
তবুও হতাশ হতে নেই কোনো মানা বাতাসের প্রাবল্যে,
জীবন জীবনের শত্‌রু, আত্মিক ছলনার নেই কোনো সাক্ষ্য,
কোথায় কি ঘটে যায়? প্রত্যেকে নেই তার আনুকূল্যে।