সাক্ষাৎ
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

অনেকদিন যাবৎ একটি পিঁপড়ার সাথে
সাক্ষাৎ হয় না, তেলাপোকাগুলোও গেলো কোথায়!
চুর তো দূরের কথা, হালকা শব্দে ওড়েও না,
হয়তো স্ত্রীর দেয়া ওষুধে তারা মারা পড়েছে!
জেটিগুলো শুধু দেয়ালে দেয়ালে ঠমকে বেড়ায়
টিউব লাইটের ঠিক পাশে,
টুপ করে খেয়ে নেয় একটি ছোট পোকা,
সত্যি পিঁপড়াগুলো গেলো কোথায়?
ডাইনিং টেবিলে চিনির ও মধুর পাত্রের
পাশে নেই তাদের রেললাইনের মতো আনাগোনা,
বিনয়ে দেখি, বড়ই নিরবে চলে তারা।
সাক্ষাৎ হয় না একটি মাছির সাথে
অনেক অনেক দিন, হয়তো জৈষ্ঠ্য মাসে হবে;
বড় কষ্ট লাগে, কোন উৎপাত নেই এখন সারাদিন,
ছারপোকার সাক্ষাৎ সেই কবে শেষ হয়েছে অজ্ঞতায়
বংশ হয়েছে সমূলে নিধন, ভাই যেনো ভুলেও গেছি।
শুধু সাক্ষাৎ পাই একটি জীবের,
দিনরাত পাগল করে দেয়, এতো ভনভন, এতো উৎপাত,
এতো শব্দ, এক ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, মানবের এক অভিশাপ!
যদিও একটি পিঁপড়ার সাথে দেখা হয় না বহুদিন,
কোথায় গেলো পিঁপড়ারা সব? তাদের বিশাল জীবনের ওপাশে
দেখা হয় পরিবারের সবার সাথে, সবসময়।
হঠাৎ দুঃখে ম্রিয়মাণ স্ত্রী আবিষ্কার করলো
কিছু পিঁপড়া ভগ্নপ্রায় গোলাপ টবের পাশে ঘুরাফিরা করছে।
পৃথিবীতে সাক্ষাৎ ঘটে আলো-অন্ধকারে
অনেক অনেকের সাথে অনেক জীবের সাথে-
অনেক অনেক বাড়ীতে অনেক আত্মীয়ের সাথে-
বন্ধুদের সাথে, পেশাজীবীদের সাথে, পোকা-মাকড়ের সাথে,
শুধু দেখছি না পিঁপড়াদের, তারা সব গেলো কোথায়!
হায়! কোথায় আমার পিঁপড়ারা কোথায় গেলো সব-
আমি ইদানিং কারুর সাথে সাক্ষাৎ করি না
অচেনার সাথে সাক্ষাৎ--সাক্ষাৎ নয়,
পিঁপড়াদের সাথে সাক্ষাৎ না হলে মোটেই ভালো লাগে না।
পিঁপড়াদের না দেখলে আদৌ শান্তি পাই না।