বাংলাদেশ একটি কবিতা
গাজী আবদুল্লাহেল বাকী

সময় হতে হঠাৎ প্রবেশ করি অনন্তে
চারিদিকে রচনার স্তুপ, শত শত কবি-সাহিত্যিকের
আনাগোনা, নীরব প্রজ্ঞাপূর্ণ, একই সংহতি,
বিস্ফারিত আমার দু’নয়ন, তৃতীয় নয়ন বিস্মিত,
অবলোকনে হতবাক এই দিগন্তহীন রাজ্যে,
একাকার আমি, আমার সত্তা নির্বাক নির্ভয়ে।

দিগন্তের একটি রেখায় আমার অবস্থান,
হঠাৎ স্তুপের মধ্য হতে কাব্যের চরণগুলো
জ্বলজ্বল করে ওঠে সোনালী রোদের ঝিলমিল
যেমন জল কল্লোলে আভার আবর্ত বাড়ে,
আমার কর্ণকুহর ধ্বনিতে ধ্বনিতে বিজয়ের
ওঙ্কার গড়ে হৃদয়ের ভাবশূন্য মহতী মণ্ডপে।

পুরানো সৌর জগতে এখনও বাংলাদেশকে দেখি
সৌন্দর্যের জননী, বসন্তে আচ্ছন্ন শাখাগুলোর আশ্রয়ে
শিশির-সিক্ত বিহগের দল অনন্ত স্বর্গ খোঁজে
সবুজ মুক্তিতে ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে যাই,
রচনার সারি সারি স্তুপ, হাজার আনন্দের মহোৎসব,
আমার চোখ, কান, হৃদয়, সত্তা এখন অনন্তে
যেথায় বাংলাদেশের আবহমান অস্তিত্ব
পরিপুষ্ট রঙিন হৃদয় খুলে প্রেমের রশ্মি ছড়ায়।
সকল কল্পনা ও বাস্তবের দ্বার খুলে একটি
চরণ বেরিয়ে এসে অনন্তে ঢেউ তোলে
সেটাই শুধুমাত্র একটি চরণ, সকল চরণের মহৎ চরণ
`বাংলাদেশ একটি কবিতা’।