তিরিশের কবিতা আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে বুদ্ধদেব বসু পরিচিত হলেও তিরিশের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ফসল জীবনানন্দ দাশ।জীবনানন্দের মত কবি প্রতিভাকে আশ্রয় না করলে তিরিশ বাংলা কবিতার ইতিহাসে সত্যিই এত বেশি আলোচিত ও দিক নির্ণয়কারী হত কিনা সন্দেহ।জীবনকালে জীবনানন্দ দাশ খ্যাতির মুখ দেখে যেতে পারেননি।বরং তার কবিতায় বাক্যের শ্লথ ভঙ্গির মাঝে মাটিগন্ধা বিচিত্র শব্দ প্রয়োগ,প্রমিত বন্ধনের মাঝে ক্রিয়াপদের সাধুভঙ্গির ব্যবহার,মৃত্যুচিন্তা ও গলিত স্থবির অন্ধকারময় চিত্রকল্পের অধিষ্ঠান--এসব কারণে সমকালে তাকে নানা বিরূপ মন্তব্যের শিকাড় হতে হয়েছিল।রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে তিরিশের অন্যান্য কবিদের নিয়মিত আসা যাওয়া থাকলেও জীবনানন্দের সাথে তার কখনও দেখা হয়নি।তবে তাদের মাঝে কয়েকটি চিঠি বিনিময় হয়েছিল।প্রথম চিঠিতে জীবনানন্দের কবি প্রতিভার স্বীকৃতির পাশাপাশি ভাষায় শব্দের জবরদস্তিমূলক ব্যবহার বিষয়ে কিছু কটাক্ষ ছিল।তবে জীবনানন্দের দ্বিতীয় কবিতাগ্রন্থ ধূসর পাণ্ডুলিপি পড়ে ১৯৩৭ সালে লেখা চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ তার উচ্ছ্বসিত  প্রশংশা করেন।দুই লাইনের সেই চিঠিতে যা ছিল তা হল--তোমার কবিতা পড়ে খুশি হয়েছি। তোমার লেখায় রস আছে, স্বকীয়তা আছে এবং তাকিয়ে দেখার আনন্দ আছে।জীবিত অবস্থায় এভাবে জীবনানন্দ রবীন্দ্রনাথ ও বুদ্ধদেব বসুর উৎসাহ পেয়েছেন।তবে পাঠক সমাজে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছেন মৃত্যুর অনেক পরে সত্তর ও আশির দশকের দিকে।এমনকি এখনও তার জনপ্রিয়তার ধারা বয়ে চলেছে।এখনও তিনি নতুন নতুন পাঠকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন কবিতায় তার চীরকালীন গন্তব্যের জন্য।

বাংলা কবিতায় তিরিশের কবিরা টেকনিকের দিক থেকে যে নতুনত্ব আনেন তার মাঝে ব্যতিক্রমী শক্তি জীবনানন্দ।একমাত্র তিনিই টেকনিকের পাশাপাশি বোধকে কবিতা থেকে হারিয়ে যেতে দেননি,বরং বিচিত্রগন্ধী চিত্রকল্পের মাধ্যমে কবিতাকে ভিন্নমাত্রায় অনুভূতিজাত করে তোলেছেন।তার কবিতায় ঘাস-লতাপাতা,জীবন-মৃত্যু এসব বিষয় ঘুরে-ফিরে বিমূর্ত ভাষায় চিত্রিত হয়েছে।জীবনানন্দের কবিতা বাংলা কবিতায় এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত সুন্দর।প্রথম দিকে নজরুল ও সত্যেন্দ্রনাথের ছন্দ ও শব্দের প্রভাব ছাড়া তার কবিতাকে মনে হয় বাংলা কবিতার ঐতিহ্য থেকে পুরোপুরি স্বতন্ত্র,পথ ধরে পেছনে হেঁটে গেলে তার কোন  পূর্বপুরুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।জীবনানন্দ কবিতায় বিমূর্ত ভাব আনলেন কিন্তু শব্দ ও চিত্রকল্পে পড়ে রইলেন আমাদের একেবারে পরিচিত জীবনে।শুধু পরিচিত নয় সাহিত্যে স্থান পেতে পারে এমন প্রশ্নবিদ্ধ নগন্য,ক্লেদাক্ত ও স্পর্শ- গন্ধময় জগত নিয়ে।ফলে কিছুদিন বিমূর্ত বা দুর্বোধ্য আখ্যা পেলেও তার কবিতা অগ্রসর পাঠকের অনুভূতিতে গভীর জায়গা করে নিতে বেশিদিন সময় নিল না।

জীবনানন্দ উপমা ও চিত্রকল্প নির্মাণে এক সিদ্ধহস্ত কবি।চিত্রকল্প নির্মাণে দৃশ্যপ্রধান চিত্রকল্পের বাইরে তিনিই প্রথম অনুভূতির এত গভীরতায় গিয়ে ঘ্রাণ প্রধান,শ্রবণ প্রধান,স্বাদ প্রধান এমনকি বিবমিষা প্রধান চিত্রকল্পের প্রয়োগ ঘটান।যখন তিনি বলেন হাইড্র্যান্ট খুলে দিয়ে কুষ্ঠরোগী চেটে নেয় জল কিংবা সূর্যের রৌদ্রে আক্রান্ত পৃথিবীতে শত শত শূকরীর প্রসববেদনার আড়ম্বর দেখেন;তখন একইসাথে বিবমিষা ও নাগরিক অপরিচ্ছন্নতার বোধ ভেসে উঠে আমাদের চেতনায়।রূপসী বাংলা হিসেবে খ্যাত বাংলার ত্রস্ত নীলিমার কবিতাগুলোতে একদিকে প্রকৃতি বর্ণনায় তিনি যেমন প্রবাদতুল্য,শেষ জীবনে প্রকৃতি বিচ্ছিন্ন নগর জীবনের যাপন অভিজ্ঞতাতেও তিনি সরব।শহর যেন এক মৃত লাশের মত উপস্থিত হয়েছে তার কবিতায়,সেখানে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন তিনি থ্যাতানো ইদুরের মত।জীবনানন্দের গ্রামীণ চিত্রকল্প নির্মাণে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়,সেটা হল তিনি চিত্রকল্পগুলো নির্মাণ করেছেন টপ ভিউ থেকে।অর্থ্যাৎ একটি পাখি উড়ে যেতে যেতে যেভাবে নিচের দৃশ্যাবলী দেখে কিছুটা তেমন।এজন্যই পৃথিবীকে তিনি মায়াবী নদীর পাড়ের দেশ হিসেবে দেখতে পেরেছিলেন।আবার নগর জীবনের বর্ণনার ক্ষেত্রে তার চিত্রকল্পগুলো একদমই প্রত্যক্ষ।নগরের বিষাক্ত শ্বাস যেন সরাসরি পড়ছে তার গায়ে,রিক্ত করে তোলছে তার সমস্ত মানস অবয়ব।

কবিতায় ভাবগত নতুনত্ব সন্ধানের পাশাপাশি তিনি আঙ্গিকগত নতুনত্বকেও গ্রহণ করেছেন।বাংলা ভাষার এলায়িত ভঙ্গিকে অনুভব করে তিনিই প্রথম কবিতায় গদ্যভাষার এত সার্থক প্রয়োগ ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন।কবিতায় গতানুগতিক অন্ত্যমিলের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে এসে তিনি অন্ত্যমিলেও নতুনত্বের পরিচয় দেন।সফেন শব্দের সাথে বনলতা সেন এর অন্ত্যমিল তার একটি উদাহরণ।তাছাড়া উপমা প্রকাশেও তিনি ভিন্নতা আনেন।চোখকে পাখির নীড়ের মত কল্পনা করা,চুলের কালো রূপ প্রকাশ করতে গিয়ে ইতিহাসের লুপ্ত নগরীর সাথে তাকে তুলনা করা--সাদৃশ্যের এত সূক্ষ্ম পথে গিয়ে তিনিই প্রথম এসব করতে পেরেছিলেন।তার কবিতায় চিত্রকল্পের নতুনত্বের কোন অভাব নেই।কবিতা পড়তে পড়তে উটের গ্রীবার মত নিঃস্তব্ধতা এসে যখন গ্রাস করে,তখন চেনা দৃশ্যকেও ভাবতে বাধ্য করায় নতন বোধিচিত্ত দিয়ে।


জীবনানন্দের কবিতায় যতিচিহ্নের ব্যবহার নতুন মাত্রা পেয়েছে।তার আগে বাংলা কবিতায় ড্যাশের এত ব্যবহার কেউ করেননি।বলা যায় ড্যাশকে তিনি শব্দের মতোই অর্থময় করে প্রকাশ করেছেন কবিতায়।বাক্যের ভেতরে ও অন্ত্যে ড্যাশের ব্যবহারের মাধ্যমে সেই ফাঁকা অংশে তিনি যেন কবিতায় ব্যক্ত বোধকে পাঠকের মনে সঞ্চারিত ও ব্যাপ্ত হওয়ার অবকাশ দিয়েছেন।এই ব্যাপারটি সত্যিই অতুলনীয়।তার কবিতায় ভারতীয় পুরাণ ও লোককাহিনীর নানা উপকরণের সার্থক ব্যবহার দেখা যায়।কবিতায় এই উপাদানগুলো হাজার বছরের স্মৃতিকে বহন করে যেন সজোরে আঘাত করে বর্তমানের স্থিরতাকে।জীবনানন্দের মত গাণিতিক সংখ্যার ব্যবহার তার আগে ও পরে বাংলা কবিতায় এত সার্থকভাবে কেউ করতে পেরেছেন বলে মনে হয় না।হাঁস নামক কবিতায় নয়টি হাঁসকে রোজ জলপাই পল্লবের মত স্নিগ্ধ জলে ভাসার বর্ণনা দিয়ে যখন তিনি বলেন-তিনবার তিন গুনে নয় হয় পৃথিবীর পথে;/এরা তবু নয়জন মায়াবীর মতো জাদুবলে--তখন তিন গুনে নয় হওয়ার বিষয়টি গাণিতিক নিয়মে নির্দিষ্টতায় আবদ্ধ না করে পাঠককে সুযোগ করে দেয় অবারিত কল্পনার।

জীবনানন্দের কবিতায় নক্ষত্র,প্যাঁচা,ইঁদুর,সন্ধ্যা,ঢের--এসব শব্দ খুব বেশি দেখা যায়।চিত্রকল্প নির্মাণেও একধরণের চিত্রকল্পের দিকে তার খুব বেশি অনুরাগ লক্ষ্য করা যায়।তবে কবিতা নির্মাণে তিনি এত পারদর্শী যে প্রত্যেকটি কবিতায় পুরনো বাহনের ভেতর দিয়েও তিনি আলাদা আলাদা বোধকে সঞ্চার করতে পারেন।সব শিল্পীরই কিছু প্রিয় রঙ থাকে।বেশিরভাগ ছবিতেই তিনি সেসব রঙের কিছু না কিছু চিহ্ন রাখতে চান।না রাখলে তিনি স্বস্তি পান না।সব কবিরই তেমন প্রিয় কিছু শব্দ ও চিত্রকল্প থাকে।বিভিন্ন কবিতায় নানাভাবে তা ফিরে ফিরে আসে।এটাকে সীমাবদ্ধতা ভাবার কিছু নেই।কবির ব্যক্তিত্ব,কল্পনা ও যাপনের অভিজ্ঞতার উপর এসবের প্রয়োগ নির্ভর করে।একই প্রকারের ঢিল ভিন্ন ভিন্ন পুকুরে তরঙ্গ তোলতে পারলে তার সৌন্দর্য দেখায় আমাদের আপত্তি নেই।

জীবনানন্দের কবিতায় সাময়িক ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ অনুরণন বা দ্রোহ নেই বলে কেউ কেউ যে অভিযোগ করে থাকেন তা মূলত জীবনানন্দকে গভীরভাবে পাঠ না করারই ফল।জীবনানন্দের কবিতায় শ্লোগানধর্মী দ্রোহ না থাকলেও তার শেষের দিকের কবিতায় যে নাগরিক ক্লান্তি,স্থবির জীবনচিত্র ও ব্যাঙ্গাত্মক ত্রিকোণের প্রয়োগ দেখি তা তার সমকাল ও বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অবক্ষয়েরই সূক্ষ্ম অথচ তীব্র প্রতিবাদ। বাংলা কবিতায় ধ্যানী,ঋষি,বীরভাব ও করুণ রসের অনেক বড় বড় কবি জন্মেছেন।তাদের মাঝে জীবনানন্দের জগত সম্পূর্ণ আলাদা।তার কবিতা জাদুমন্ত্রের মত পাঠককে শব্দের মানস মূর্তিতে টেনে নিয়ে যায়।শব্দের স্তরে স্তরে ছড়ানো ইতিহাস,স্মৃতি ও চেতনার আফিম ঘোরগ্রস্ত করে ফেলে সমস্ত আমিত্বকে।তখন কবিতা পড়তে পড়তে গ্লাসের তলায় নিমগ্ন পাথরকুচির মত পাঠক হঠাৎ আবিষ্কার করে নিজের অবচেতনাকে।

দুই

জীবনানন্দের কবিতার ভাষা তার ভাবের অনুসারী,শব্দ সেখানে ভাবের দাসত্ব করেছে,ভাব শব্দের নয়।জীবনানন্দের আকাশচুম্বী সফলতায় আকৃষ্ট ও মোহিত হয়ে নব্বই পরবর্তী অনেক কবিই ভাবলেন,ভাষাই বুঝি কবিতায় সফলতার একমাত্র উৎস।উপায়কে লক্ষ্য বানালে যা হয়,ফলে তা-ই হল।ফল হল,ফুল হল,কিন্তু তাতে আর স্বাদ-গন্ধ বলে কিছু থাকলো না।জীবনানন্দের সফল উত্তরসূরী বিনয় মজুমদার তার ভাষাকে নয়,ভাবকেই আত্মীকৃত করেছেন বেশি,ফলে বিনয়ের ভাষা জীবনানন্দ ঘেঁষা যেমন হয়েছে,আবার বোধপ্রবণও থেকেছে।জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতায় বোধের যে সংকট চলছে।ভাষার চাকচিক্যে তাকে আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হচ্ছে।এখানে আকাশ নীল'--এমন অকপট স্বীকারুক্তি দিতে পারার মত কবি আর হয়তো আমরা পাব না।নন্দনের ভাঁড়ে আমরা হয়তো আরও বহুদিন চন্দন কাঠ পোড়াব।


জীবনানন্দের কবিতা পড়ে বুঝা যায় কী গভীরভাবে তিনি চারপাশকে দেখেছেন ও প্রকৃতির অনুষঙ্গগুলো নিয়ে ভেবেছেন।তার এই আত্মমগ্নতা,সময়ের রথচারিতা এইসবই তার কবিতার ভাষাকে নির্ধারিত করে দিয়েছে।কবিতার পরতে পরতে দৃশ্য ও রঙের এত বিচিত্র ব্যবহারের ভেতর অন্তর্গত বোধকে তিনি প্রোথিত করেছেন প্রবহমান জলের ধারার মত।আঙ্গিক,প্রকরণ ও বোধের ব্যাপ্তির এই মিথস্ক্রিয়া--  এইখানে জীবনানন্দের সফলতা আকাশচুম্বি।

অনেকেই বলেন জীবনানন্দের যুগ শেষ।তাকে নিয়ে আমাদের আর এত হৈচৈ করার কিছু নেই।জীবনানন্দের বাইরে বেরিয়ে এসে আমাদের লিখতে হবে।জীবনানন্দের বাইরে বেরিয়ে এসে লিখতে হবে সত্য।বুদ্ধদেব বসু যেমন বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথের অনুসরণ করতে গেলে কেবল তার ভগ্নাংশ হতে হয়,জীবনানন্দের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্য।কথা হল জীবনান্দের প্রভাব মুক্ত হয়েই লিখি আর তার থেকে যোজন-যোজন দূরে গিয়েই লিখি;কবিতার এই সোনার ফসল দেখার পর কেউ কী আর রূপার ফসলে ভুলবে?মানে জীবনানন্দের ভিন্ন পথে গিয়েও তার সৃষ্টিশীলতার কম বাটখারার প্রতিভা আমাদের আর অভিভূত করবে না।জীবনানন্দ এই জায়গায় বাংলা কবিতার বিকাশের অন্যান্য পথকে ব্ল্যাকহোলের মত নিজের দিকে টেনে রেখেছেন।

জীবনানন্দের এই সফলতা আমাদের কবিতায় অনেক কিছু দিয়েছে সত্যি কিন্তু তার এই সফলতায় আকৃষ্ট হয়ে উত্তরাধুনিক কবি সমাজ টেকনিককেই কবিতার অন্যতম লক্ষ্য করলেন।ফলে কবিতার সাথে আদৌ সম্পর্ক আছে কিনা না ভেবেই একের পর এক আরোপিত চিত্রকল্প চাপাতে থাকলেন কবিতার দেহে।নামে বিমূর্ত হওয়ায় এসবের বিরুদ্ধে স্পষ্ট করে কোন অভিযোগ তোলা পাঠকের পক্ষে সম্ভব হল না।উল্টো অগ্রসর পাঠকের শিল্পবোধ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হল।

জীবনানন্দ যেটাকে তার কবিতায় নতুনত্ব আনার জন্য উপায় হিসেবে স্থির করেছিলেন,উত্তরাধুনিকগণ সেটাকেই তাদের গন্তব্য হিসেবে ঠিক করেছেন।ফলে যা হয়েছে তা আমরা সবাই জানি।

অনেকেই বিমূর্ততাকে অবাধ কল্পনা ভাবে যা একটি বিরাট ভুল।বিমূর্ততা বাস্তবতারই এক ভিন্নধর্মী নির্মাণ,বাস্তবকে যা আরও গভীরভাবে নির্দেশ করে।কবিতায় আড়াল বা রহস্য থাকতে পারে কিন্তু তা যদি অহেতুক দেয়াল তুলে বসে থাকে,তবে বুঝতে হবে কবিতার অন্তঃসারশূন্যতা ঢাকতেই কবি এইসব নান্দনিক দেয়ালের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।বিজলি বাতি ও দামি পাথরের গেট সাজিয়ে  ঘরের ভেতরের দারিদ্র‍্যকে তিনি লুকাতে চাইছেন।

(প্রকাশ--দৈনিক ইনকিলাব,২৮.১০.২২)